পানীয় জল থেকে নিকাশি! একাধিক সমস্যায় জর্জরিত থানামাকুয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ০৩ জুলাই: দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। বাকি হাতেগোনা মাত্র আর কয়েকটা দিন। পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে তাই নিয়ে চলেছে এখন তরজা। তবে পঞ্চায়েতে গ্রামীনে যারা রয়েছেন তাদের কি কি সমস্যা, এছাড়াও গত পাঁচ বছর ধরে কি কি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তা জানতেই আমাদের নজর থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে।
জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে লোকসংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় একটি। বর্তমানে থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন মঞ্জু সেন। এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতে রয়েছে কয়েকটি গ্রাম চুনাভাটি, জোড়াপুকুর, চন্দ্রবাটি, স্কুল মাঠ, অরবিন্দ সরণি, পোদরা, থানামাকুয়া। রাস্তাঘাটের কাজ কিছু জায়গায় সম্পূর্ন হলেও বেশ কিছু জায়গায় এখনও রাস্তা নির্মাণ হয়নি বলেই অভিযোগ। নালা থাকলেও এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। নোংরা আবর্জনা ফেলার মতো জায়গা নেই বেশ কিছু এলাকায়। ভ্যাটের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি পানীয় জলের সংকট রয়েছে ব্যাপক ভাবে। ৫০ টি পরিবার একটি টেপা কলের উপরে ভরসা করতে হয় এবং বাড়ীতে যারা কল লাগিয়েছেন সেই কলেতে জলের প্রেসার খুবই কম। সারাদিনে একবার জল পাওয়া যায়।
অভিযোগ, চন্দ্রবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খানাখন্দে ভরা রাস্তা, স্কুল পড়ুয়াদের প্রতিদিনই সেই খানাখন্দে ভরা রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে। প্রখর রোদে, দাবদহে পানীয় জলের অভাব থাকলেও স্কুলের সামনে গাড্ডায় জমছে জল সেই জল বারোমাসই রাস্তায় রয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিরোধীরা ক্ষোভ উগরে দিলেও পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু সেন কোনও রকম মুখ খোলেননি। তাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে ফোন রেখে দেন।
তবে, দক্ষিণ হাওড়ার সভাপতি সৈকত চৌধুরী জানান, ৭০ শতাংশ কাজ তারা সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন। তবে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ায় তারা ঠিকঠাক কাজ করতে পারছেন না। উন্নয়ন মূলক কাজ রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে করছে। এছাড়াও তিনি স্বীকার করেন ড্রেনেজের কাজ আরও বেশি ভালো করে করতে হবে।
থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কতটা উন্নয়ন হয়েছে বা মানুষ তাদের চাওয়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তার জবাব মিলবে পঞ্চায়েত ভোটে।
No comments:
Post a Comment