ছাপ্পা ভোট-ভোট লুটের প্রতিবাদে কংগ্রেসের বিক্ষোভ, জাতীয় সড়ক অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৯ জুলাই: ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস ও ভোট লুটের প্রতিবাদে জেলা জাতীয় কংগ্রেসের তরফে জাতীয় সড়ক অবরোধ। রবিবার মালদা শহরের রথবাড়ি মোড়ে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের।
কংগ্রেস নেতৃত্বেদের অভিযোগ, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেওয়ার কথা কিন্তু তা অমান্য করা হয়েছে। যে সমস্ত বুথে কেন্দ্র বাহিনী দেওয়ার কথা সে সমস্ত বুথগুলোতেও কেন্দ্র বাহিনী দেওয়া হয়নি। যার কারণে ওই বুথ গুলোতে ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বাক্স লুট সহ অশান্তি, মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তাই জেলা কংগ্রেসের নেতৃত্বে পুনরায় নির্বাচনের দাবীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে ঘন্টা খানেক ধরে। বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ সড়ক, মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জেলা কংগ্রেসের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ মালদা সাংসদ আবু হোসেন খান চৌধুরী। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলম, সহ-সভাপতি ইশা খান চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলম বলেন, "গতকাল বাংলায় যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে, তা নির্বাচন নয় প্রহসনে পরিণত হয়েছে। সারা বাংলায় রক্তপাত হয়েছে, মানুষ মারা গেছে, ভোট লুট হয়েছে, ছাপ্পা ভোট হয়েছে, ভোট রিগিং হয়েছে এবং মালদা জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দাবী করছি প্রায় ২০০ বুথে ভোট ছাপা হয়েছে সেই বুথগুলোতে রিপোল করতে হবে।"
তিনি বলেন, "বাংলার সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, তার বিরুদ্ধে আমরা রথবাড়ি মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছি।" তাঁর দাবী, তৃণমূল সরকার ভয় পেয়েছে, আর আর ভয় পেয়েছে বলেই সন্ত্রাস করেছে।
তিনি বলেন, "এই নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর প্রায় ৩৯ জন মানুষের প্রাণ গেছে, বাংলা রক্তপাত হয়েছে, এর জবাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে এবং আমরা এইখান থেকেই দাবী তুলছি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ নির্বাচন মানুষের অধিকার সেই অধিকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেড়ে নিয়েছেন।"
কংগ্রেস নেতার সংযোজন, "তাই আমরা এখানে রাস্তায় বসেছি।" এই জেলার ডিএম, বিডিও আইসি ওসি সবাই মিলে এই ভোট ছাপ্পা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে যাওয়ার ও কেস করারও হুঁশিয়ারি দেন।
No comments:
Post a Comment