'পুলিশ প্রশাসনকে গণপিটুনি দেওয়া উচিৎ', বিস্ফোরক শান্তনু
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১২ জুলাই: 'পুলিশ প্রশাসনকে গণপিটুনি দেওয়া উচিৎ', এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। গণনা কেন্দ্র থেকে বিজেপি কর্মীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে, বুধবার বনগাঁ-বাগদা সড়কে হেলেঞ্চাতে রাস্তা অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অবরোধে সামিল হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "দিপালী বিশ্বাস এখানে সাড়ে ৫ হাজার ভোটে জিতেছেন। চার-পাঁচ বার তার কাউন্টিং আবার রি-কাউন্টিংও হয়েছে। তিনি জিতেও আছেন। আমি অবাক হয়ে যাই এখানের পুলিশ প্রশাসন এবং সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিডিও এরা মিলে তাকে দশ ঘন্টা বসিয়ে রেখে সার্টিফিকেট না দিয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের যিনি আছেন তাকে দিয়ে দিল।"
তিনি বলেন, "এরা কীভাবে একটা পার্টির দলদাস হয়ে কাজ করে! এদের লজ্জা-শরম, মানবিকতা কিছু নেই। সব শেষ করে দিয়েছে। এদের দরকার গণপিটুনি। রাস্তায় গণপিটুনি দিলে এরা ঠিক হবে। এই ওসি-টসিকে রাস্তায় তাড়িয়ে দিয়ে পেটাত হবে, আর কোনও কথা নেই।"
তার অভিযোগ, শুধু এখানে নয়, এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় এগুলো হয়েছে। তিনি বলেন, "গাইঘাটা ব্লকেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতিতে যে জিতেছেন, তার ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড়ে চলে গেছেন। এইরকম ঘটনা হয়েছে। এই সমস্ত নিয়ে আমরা হাইকোর্টে কেস করব।"
মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতাদেরও নজিরবিহীন আক্রমণ করেন শান্তনু ঠাকুর। তিন বলেন, "এই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে বসে আছেন, কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা আমি। পঞ্চায়েত ভোট কেন করেছেন এখানে, মানুষ মারতে? গদিতে বসে দেখছেন, মানুষ মারার খেল চলছে এটা! এটা গণতন্ত্র? ফাজলামো? তোদের নেতাগুলোর অবস্থা কি? এক একটা মেয়ে নিয়ে মজা করছে আর বড় বড় পলিটিক্স করছে!"
যা ঘটনা ঘটছে সাধারণ মানুষ জেলা প্রশাসন বা যারা আছে তাদের গণধোলাই দেবেন? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "গণধোলাই খাওয়ার কাজ করছে তো এরা। এই পুলিশ প্রশাসন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রসাশন যারা আছে, এরা সব গণধোলাই খাওয়ার কাজ করছে।"
তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্যা সমাধান হবে, এই অবরোধ চলবে।
No comments:
Post a Comment