ভোটের বলি আরও ২, তৃণমূল-বিজেপি কর্মী খুনে গোটা এলাকায় উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৩ জুলাই, কলকাতা : কোচবিহারে আরও ২ ভোটের বলি। এবার মৃত্যু হয়েছে জয়ন্ত বর্মণ ও লতিফ মিয়া নামে আরও দুইজনের। দুটি ঘটনায় একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। গোটা জেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বলা হয়েছে, ভোটের একদিন আগে কোচবিহারের শালবাড়ি, তুফানগঞ্জে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ৩ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত জয়ন্ত বর্মণ আজ কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মধ্য শীতলকুচি গ্রামের ৫/২২৩ নম্বর বুথে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী লতিফ মিয়া। কয়েকদিন সংগ্রাম করার পর তিনিও মারা যান। এই ঘটনায় বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনাটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আমলে নিয়ে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে, রাজ্য জুড়ে ভোট-পরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই একই চিত্র। মালদার পুকুরিয়ার মহারাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলপুরে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। অনেক বাড়িতে ভাঙচুর হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই তোলপাড় শুরু হয়। এলাকায় পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুকুরিয়া থানার পুলিশ উভয় পক্ষের অনেককে আটক করেছে।
কংগ্রেস সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁদের ওপর তৃণমূল হামলা চালায়।ওই বুথে কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। এরপর তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের মোট ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও টহল দিচ্ছে। কংগ্রেস নেতা তথা এলাকার বিজয়ী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী শেখ ওয়াজুলের অভিযোগ, নির্বাচনের আগেই তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। তাঁর জয়ের পর থেকে কংগ্রেস সমর্থকদের বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে। পাল্টা তৃণমূল নেতা শেখ মানোয়ার হোসেন অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেস এখানে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। এবার সরাসরি তার বাড়ি ভাংচুর করা হয়।
No comments:
Post a Comment