ভোট পরবর্তী হিংসা দেগঙ্গায়! আইএসএফ প্রার্থীর দোকানে ভাঙচুর-বোমাবাজি, নির্দলের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৩ জুলাই: ভোট পরবর্তী হিংসা, আইএসএফ প্রার্থীর দোকানে ভাঙচুর, এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। তাঁদের পাল্টা দাবী, গতকাল (বুধবার) আইএসএফ দুষ্কৃতীদের মারে তাদের দুজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গার হাদিপুর-ঝিকরা ১ পঞ্চায়েতের আমতলা হাট এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে আইএসএফ প্রার্থী উমর ফারুক বলেন, আমরা আইএসএফ করি। পঞ্চায়েতে হেরে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের হার্মাদবাহিনী আমাদের হুমকি দেয়; গালিগালাজ করে, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তিনি জানান বুধবার সকাল থেকেই দু'পক্ষের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গেলে দোকানে ভাংচুর করা হয়। আইএসএফ প্রার্থী বলেন, "উপর নেতৃত্বকে বলেছি তারা পুলিশে জানিয়েছে। পুলিশ এসেছিল, র্যাপ পাঠিয়েছিল। এরপর তৃণমূলের হার্মাদবাহিনী পালিয়ে যায়। আমরা চাইছি এর সঠিক বিচার হোক।"
আইএসএফ প্রার্থীর বাবা হজরত মণ্ডল জানান, মূল রাগটা ছেলে আইএসএফের প্রার্থী হয়েছে। তিনি বলেন, "ওরা তৃণমূল দলের জিতে এসে আমার বাড়িতে বোমা মেরেছে। গালিগালাজ করেছে, মেয়েদের শাসিয়েছে, আমরা কিছু বলিনি। আমাদের চোর বদনাম দিচ্ছে। সকালে দোকানের কিছু জিনিস উল্টোপাল্টা করেছে, চেয়ার টেবিল ফেলে দিয়েছে। তারপরেও আমরা কিছু বলিনি। গ্ৰামের মানুষদের বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু তারা প্রথমে এক জায়গায় বসার কথা বললেও পরে আর সাড়া দেয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "রাত পৌনে ৮ টা নাগাদ এসে আমার দোকানের সব ভাংচুর করেছে। আমার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল লাঠিসোটা, বোম, ইট, পাথর নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে র্যাফ ঢোকার পর এরা পালিয়ে গেল। এরপর র্যাফ চলে যেতে ফের আমাদের বাড়ি গিয়ে সবাইকে হুমকি দিয়েছে; সহজে ছাড়ব না, ঘরবাড়ি সব ভাংচুর করে দেব। এখন এই পর্যন্ত আছে।"
অপরদিকে দেগঙ্গা চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নির্দলের দ্বারা আক্রান্ত হয় শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা, এমনই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নির্দল-তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত হয় ৭ জন। আক্রান্ত বলেন, "আমরা তৃণমূল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দলের কাছে হেরে যাই। এরপর থেকেই আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ সকালে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে দুই ভাই, ছেলে ও আমার ভাইপোকে প্রচণ্ড ভাবে মারধর করেছে, মাথা ফেটে গিয়েছে। আমারও আঙুল ভেঙে গেছে। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। বাড়ির চারদিকে বোম মেরে আটকে রাখা হয়। এরপর পুলিশ ও প্রসেনজিৎ বাবু গিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে আনেন। এরপরেও গ্ৰামে ফের বোমা পড়ছে।"
তিনি বলেন, "যেহেতু আমরা নির্দলের হয়ে কাজ করিনি, তাই আক্রোশ বশত এই কাজ করেছে।" তবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment