সাপের ছোবলে রোগীর মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম মালদা মেডিক্যালে, চিকিৎসকদের মারধর-ভাংচুর
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ৩১ জুলাই: সাপের ছোবলে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় তুলকালাম। হাসপাতালের পাঁচ জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল চত্বরে ভাংচুর করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতে মালদা হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক বলে দাবী করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাপের ছোবলে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। পাঁচ জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে পড়েন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুনিয়র চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানা পুলিশ। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবেন।
এ ঘটনায় নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এছাড়াও, তাদের অভিযোগ যে, বহিরাগতরা যখন হাসপাতালে প্রবেশ করছে, তখন বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিভিক ভলান্টিয়াররা তাদের নিয়ন্ত্রণ করেনি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মৃত রোগীর নাম রূপলাল ঘোষ, বয়স ৪০ বছর। ওনার বাড়ি পুরাতন মালদায়। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসার পর তিনি মারা যান। রোগীর স্বজনদের দাবী, তাদের রোগী দীর্ঘ সময় ধরে ওয়ার্ডে চিকিৎসা ছাড়াই পড়ে ছিল।
এ বিষয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা সাময়িক ধর্মঘটে থাকলেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিকভাবে চলছে। রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ, যদিও পুলিশ আসতে একটু দেরি করে। তবে আমরা পুলিশকে হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়াতে বলেছি। চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।
রোগীর স্বজনরা রোগীকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলেও চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা। রোগীকে খুব গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment