তৃণমূল নেতাকে গুলি করতে ১ লক্ষ সুপারি নেওয়া হয়েছিল! রহস্য উন্মোচন ধৃত শ্যুটারের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩০ জুলাই, পুরুলিয়া : আদ্রায় তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে খুনের ঘটনায় আরও এক বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের উজ্জাইন থেকে তাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে পুরুলিয়ায় আনা হয়। রবিবার তাকে রঘুনাথপুর বিভাগীয় আদালতে পেশ করা হবে। আদ্রায় তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে খুনের ঘটনায় দুই শ্যুটার-সহ গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচে। এই খুনের ঘটনায় গঠিত এসআইটি দ্বিতীয় বন্দুকধারীর খোঁজ শুরু করেছে।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই শ্যুটারকে মধ্যপ্রদেশের উজ্জাইন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য দিয়েছেন এবং তার ভিত্তিতে শিগগিরই অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের দিন মধ্যরাতে দুইজনকে আটক করা হয়। পরদিন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তিন বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর মূল পরিকল্পনাকারী ও রেলওয়ে সিন্ডিকেটের প্রধানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অবধেশ পান্ডে। তার বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার কেতিয়া থানার দিগবাই গ্রামে। প্রাক্তন ধৃত শ্যুটার রত্নেশকুমার পান্ডেরও এই গ্রামে একটি বাড়ি ছিল। একটি কোম্পানিতে ওয়েল্ডিং ফোরম্যান হিসেবে কাজ করতেন।
ধৃত দুই শ্যুটারই এক লক্ষ টাকার জন্য এই তৃণমূল নেতাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। তদন্তের স্বার্থে এই শ্যুটারদের টাকা কে দিয়েছে তা পুলিশ প্রকাশ করতে চায় না। ধৃত দুই শ্যুটারকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের একটি দল কয়েকদিন আগে মধ্যপ্রদেশে বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছিল।
গত সপ্তাহে বিহার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া রত্নেশকুমার পান্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশ দ্বিতীয় শ্যুটারকে খুঁজে পেয়েছে। শীঘ্রই আরও একজনকে ধরা হবে বলে আশাবাদী পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।
২২ জুন আদ্রা নগর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে আদ্রার পুরনো বাজারে অবস্থিত তাঁর দলীয় কার্যালয়ে খুন করা হয়। রাতেই দুইজনকে আটক করা হয়।
এরপর ২৫ জুন এই হত্যাকাণ্ডে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়। ২৭শে জুন, খুনের মূল পরিকল্পনাকারী এবং আদ্রা সিন্ডিকেটের প্রধানকে বিহারের জামুই থেকে গ্রেফতার করা হয়।
No comments:
Post a Comment