নিখোঁজ হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, মিলল ৫ মরদেহ
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১১ জুলাই: মঙ্গলবার সকালে নেপালে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার। নেপালের অনুসন্ধান দল বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও মৃতদেহের সন্ধান এখনও চলছে। কোশিপ্রান্ত পুলিশের ডিআইজি রাজেশ নাথ বাস্তোলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে, গ্রামবাসীরা পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর বলেছে, মনে হচ্ছে পাহাড়ের চূড়ায় একটি গাছের সঙ্গে হেলিকপ্টারটি ধাক্কা খেয়েছে।
কোশিপ্রান্ত পুলিশের ডিআইজি রাজেশনাথ বাস্তোলা এএনআইকে বলেছেন, “লিখু পিকে গ্রাম পরিষদ এবং দুধকুন্ডা পৌরসভা-২ সীমান্তে হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে, যাকে সাধারণত লামাজুরা ডান্ডা বলা হয়। গ্রামবাসীরা পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।" এ ছাড়াও ডিআইজি বাস্তোলা বলেন, "উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।"
উল্লেখ্য, নেপালের মানাং এয়ারের একটি হেলিকপ্টার মঙ্গলবার মাউন্ট এভারেস্টের কাছে নিখোঁজ হয়।হেলিকপ্টারটিতে ছয়জন আরোহী ছিলেন। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক প্রতাপ বাবু তিওয়ারি বলেছিলেন যে 9N-AMV হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের মাত্র ১৫ মিনিট পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 'কাঠমান্ডু পোস্ট' পত্রিকা নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য আধিকারিক জ্ঞানেন্দ্র ভুলকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, হেলিকপ্টারটি সকাল ৯.৪৫ মিনিটে সোলুখুম্বুর সুরকি থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
'হিমালয়ান টাইমস' সংবাদপত্র একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাইলট চেত গুরুং সহ হেলিকপ্টারটিতে মোট ছয়জন আরোহী রয়েছেন। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক ট্যুইট করে জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটিতে ৬ জন ছিলেন। যার মধ্যে পাঁচজন যাত্রী ও একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন। অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য কাঠমান্ডু থেকে অল্টিটিউড এয়ার হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারি মাসে, নেপালের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, যাতে প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল, এতে ক্রু সদস্যসহ ৭২ জন যাত্রী ছিলেন। সেতি নদীর ঘাটে পড়েছিল বিমানটি। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের চারপাশে আগুন লেগে যায়, যার কারণে উদ্ধারকারী দলকে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।
No comments:
Post a Comment