সুপারস্টারের বাবা হয়েও নেই বিন্দুমাত্র অহঙ্কার, আজও বাস চালান যশের পিতা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৭জুলাই: কেজিএফ (KGF) ছবির দৌলতে দক্ষিণী অভিনেতা যশের (Yash) নাম এখন সিনেমাপ্রেমীদের মুখে মুখে ফিরছে। কেজিএফ চ্যাপটার ওয়ান এবং চ্যাপ্টার টু’তে রকি ভাইয়ের হিরোইজম দাপট দেখিয়েছে সিনেমার পর্দায়। তবে চমকের তো সবে শুরু! যশ এবং কেজিএফকে নিয়ে এখন অনেক বড় কিছু ভাবছেন ছবির নির্মাতারা। এ কথা ঠিক যে এই ছবির দৌলতে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গিয়েছে যশের।
অনেক সংগ্রাম করে তবে আজকের এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছেন যশ। বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে অভিনয়ে এসেছেন। অভিনেতার বাবা নবীনকুমার গৌরা বাসের ড্রাইভারি করে সংসার চালাতেন। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন তারা। বাবা চাইতেন ছেলে পড়াশোনা শিখে চাকরি করুক। তবে যশের স্বপ্ন তাকে তাড়িয়ে নিয়ে এসেছে ক্যামেরার সামনে।
একসময় পকেটে মাত্র ৩০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে সোজা নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটা দেন যশ। বাবা-মা ভেবেছিলেন ছেলের এই মোহ বেশীদিন টিকবে না। তাড়াতাড়ি আবার বাড়িতে ফিরে আসবেন যশ। তবে অভিনেতা তার স্বপ্ন সফল করে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন। আজ তিনি দক্ষিণের নামকরা সুপারস্টার। এই ইন্ডাস্ট্রি তাকে দুহাত ভরে যশ, অর্থ, প্রতিপত্তি, খ্যাতি এনে দিয়েছে। তবে তার বাবা ছিলেন যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন।
ছেলে সুপারস্টার হলেও যশের বাবার জীবনে এতোটুকু পার্থক্য আসেনি। তিনি আগে যেমন বাস চালাতেন, এখনও তেমনই বাস চালাচ্ছেন। যশ সুপারস্টার হয়ে ওঠার পর থেকে তাদের সংসারের হাল ফিরেছে। তিনি চাইলেই তারকাদের মতো জীবন কাটাতে পারতেন। তবে যশের বাবা মাটির সঙ্গে সংযোগ বজায় রেখে চলেন। ছেলে সুপারস্টার হওয়ার পর তার মধ্যে এতোটুকু অহংকার বাসা বাঁধতে দেননি তিনি। এখনও বাস চালিয়ে যাচ্ছেন সগর্বে।
যশ এবং তার বাবার সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন দক্ষিণের বিশিষ্ট পরিচালক এস এস রাজামৌলি। তিনি জানান যখন তিনি জানতে পারেন যশ একজন বাসচালকের ছেলে এবং তার বাবা এখনও বাস চালাচ্ছেন তখন তিনি রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। যশের বাবার সম্পর্কে জেনে তাকে কুর্নিশ করছে নেট দুনিয়া।
No comments:
Post a Comment