সীমা হায়দারের মামলায় উঠে এল আলিয়া ভাট-অক্ষয় কুমারের নাম!
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : সীমা হায়দার এবং তার প্রেমিক শচীনের আইনজীবী এপি সিং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে সীমাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, "চলচ্চিত্র অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং ব্রিটিশ নাগরিক আলিয়া ভাট যদি কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ভারতে থাকতে পারেন, তাহলে সীমা বৈষম্য কেন?"
অ্যাডভোকেট এপি সিং বলেছেন, "গত পাঁচ বছরে শত শত মানুষ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। প্রয়োজনে তিনি এর তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তদন্তকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।" গায়ক আদনান সামির নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে আসা পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দারকে বোন হিসেবে অভিহিত করে আইনজীবী বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিয়ে গেলে তিনি তা নিয়ে সীমাকে ন্যায়বিচার দেবেন। তবে তিনি আদালত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার তদন্তে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সীমা ও শচীন জুটির তুলনা করেছেন হীর-রাঞ্জা, শেরি-ফরহাদ এবং রোমিও-জুলিয়েটের সঙ্গে।
মামলা করা উচিৎ নয় বলেও যুক্তি দেন
আইনজীবী এপি সিং বলেছেন, "ভিসা ও পাসপোর্টের সাহায্যে সীমা পাকিস্তান থেকে দুবাই এবং সেখান থেকে নেপালে এসেছিলেন। নেপাল থেকে ভারতে আসতে ভিসার প্রয়োজন হয় না এবং সীমা শচীনের স্ত্রী হয়ে রাবুপুরায় এসেছিলেন। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা যাবে না। সীমা দু'বছর আগেও হিন্দু হয়ে কারওয়া চৌথ উপবাস করতে মেনে নিয়েছেন। তিনি এখন ভারতের নাগরিক এবং কোনও মূল্যেই তাকে পাকিস্তানে পাঠানো যাবে না।" আইনজীবী বলেছেন যে তিনি শচীন এবং সীমাকে যে কোনও তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে সত্য কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন।
নয়ডা ভিত্তিক আজাদ লিগ্যাল কনসালটেন্সির ডিরেক্টর এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট নেহা আজাদ বলেছেন যে ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সীমা হায়দারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হল তিনি অবৈধভাবে এখানে এসেছেন। তিনি যদি বৈধভাবে এসে একজন ভারতীয় পুরুষকে সঠিকভাবে বিয়ে করতেন, তাহলে তার নাগরিকত্বের পথ আরও সহজ হত। নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও ভারতীয় কোনও বিদেশী মহিলাকে বিয়ে করেন বা কোনও ভারতীয় মেয়ে কোনও বিদেশী ছেলেকে বিয়ে করেন, তবে সেই বিদেশী মেয়ে বা ছেলেটি ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে।
গোটা দেশ এখন বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায়। জনগণের দৃষ্টি এখন সংস্থাগুলোর চূড়ান্ত রিপোর্টের দিকে।
No comments:
Post a Comment