কাজের লোভ দেখিয়ে নারী পাচার! ৩ এজেন্টসহ গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি নারী
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৫ জুলাই, শিলিগুড়ি : কাজের প্রলোভন দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে উত্তরবঙ্গে নিয়ে আসা হয় মহিলাদের। তাদের পতিতালয়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্য ছিল। তবে, পাচারের আগেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ৫ বাংলাদেশি মহিলা ও ৩ ভারতীয় এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ভারতীয় এজেন্টদের নাম ঝন্টু রায়, ফনি রায় এবং সঞ্জয় রায়।
এরা সকলেই শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। বলা হচ্ছে, শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ রাতে এনজেপি স্টেশন এলাকা থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীরা সবাই বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা। তারা বাংলাদেশি এজেন্টদের মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুর জেলার কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
তারপর উত্তর দিনাজপুর হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছান। তিন ভারতীয় এজেন্ট, ঝন্টু রায়, ফনি রায় এবং সঞ্জয় রায় তাকে অন্যত্র পাচার করেছে বলে অভিযোগ। এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ আটজনকে আটক করে।
কাজের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার
ওই মহিলারা পুলিশকে জানান, বাংলাদেশের এক ব্যক্তি ভারতে যাওয়ার সময় তাদের কাজ আছে বলে জানান। বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া নারীরা চাকরির লোভে ফাঁদে পড়েন।
এরপর বাংলাদেশ থেকে তাদের অবৈধভাবে ভারতে আনা হয়। এরপর ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌঁছান। রাতে এনজেপি স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার আগেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সবাইকে ধরে ফেলে।
বাংলাদেশি নারীদের কারও কাছেই কোনও কাগজপত্র ছিল না। এরপর তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। সোমবার ধৃত পুরুষদের জলপাইগুড়ি আদালতে আনা হলে বিচারক বেআইনিভাবে দেশে প্রবেশের অভিযোগে ওই পাঁচ মহিলাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়াও, বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের সুবিধার্থে তিন ভারতীয় এজেন্টকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “আমরা তিনজন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। ওই নারীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।"
No comments:
Post a Comment