মমতাকে বাঁচাতে চাকরি হারিয়েছিলেন! ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন সিরাজুল
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা: মমতাকে বাঁচিয়ে আজ নিজেই নিজেকে জীবন্ত শহীদ বলে আখ্যা দিয়েছেন সিরাজুল। মমতাকে বাঁচিয়ে আজ নিজেই মৃতপ্রায় তিনি। ২১শের শহীদ মঞ্চে কখনও ডাক না পেলেও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরি ফিরে পাওয়ার আর্জি জানান সিরাজুল। জীবন্ত শহিদ বলে নিজেকে আখ্যা দিলেও আজও চাকরিটা ফিরে পাওয়ার আশা রয়ে গিয়েছে মনের মধ্যে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত ইছাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রডাঙার বাসিন্দা সিরাজুল হক মণ্ডল। ২৬ বছর কেটে গিয়েছে চাকরি হারিয়েছেন সিরাজুল হক মণ্ডল। এখনও তরতাজা রয়েছে সেই সমস্ত স্মৃতি। নতুন করে কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই তাঁর, প্রথম দিন থেকে যে দাবী ছিল, আজও সেই দাবীতেই অনড় সিরাজুল। হারিয়ে যাওয়া সেই চাকরিটাই ফিরে পেতে চান তিনি। এর জন্য আবেদন জানাতে জানাতে বাড়িতে জমেছে কাগজের পাহাড়।
সিরাজুল হক মণ্ডল জানান, সেই সময় কংগ্রেসের যুবনেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের দিন সচিত্র পরিচয়পত্রের জন্য মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা। মিছিলটি যখন মহাকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় তৎকালীন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দিনেশ বাজপেয়ীর নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। সেই দৃশ্য চোখের সামনে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সিরাজুল। তখন সেই দৃশ্য দেখে ডেপুটি কমিশনার দিনেশ বাজপেয়ীর দিকে বন্দুক তাক করে প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই তাকে চাকরি হারাতে হয়েছে দাবী সিরাজুলের।
চাকরি পাওয়ার আশা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে সিরাজুলের মধ্যে থেকে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পাওয়ার জন্য দরবার করেছেন, একাধিক প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু বাস্তবে কোনও কাজ হয়নি।
সিরাজুল হক মণ্ডলের মা রুব্বান মণ্ডল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটাই কাতর আবেদন, তিনি যেন আমার ছেলের চাকরিটা ফিরিয়ে দেন।'
No comments:
Post a Comment