রাতের অন্ধকারে নির্বাচনে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৯ জুলাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ২০ দিনের বেশি হয়ে গেছে, কিন্তু নির্বাচনের পরেও রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীকে রাতের অন্ধকারে গুলি করে খুন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুর এলাকায়। নিহতের নাম মাইমুর ঘরামী (৪০)।
তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। মাইমুর মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিনবার বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন তিনি।
এ ঘটনায় মাইমুর ছাড়াও তার প্রতিবেশী শাহজাহান মোল্লাও গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে মগরাহাট থানার পুলিশ। সকাল থেকেই অর্জুনপুর এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন মাইমুর
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মাইমুর। বাড়ি থেকে কিছু দূরত্বে অজ্ঞাত কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে। দুর্বৃত্তরা মাইমুরকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে একদল দুষ্কৃতী নিহত তৃণমূল সদস্যকে ঘিরে ফেলে। এরপর দুর্বৃত্তরা দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে মাইমুরকে ধরে ফেলে। মাইমুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
মাইমুরের চিৎকার শুনে প্রতিবেশী শাহজাহান তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। শাহজাহানকেও গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মাইমুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ শাহজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর রাতেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিঠুন দে।
এই ঘটনার বিষয়ে মিঠুন দে বলেন, “মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী ছিলেন মামুর। আএহ. এছাড়াও একজন আহত হয়েছেন। অনেক দুর্বৃত্তের নাম বেরিয়ে আসছে, যাদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা দুর্বৃত্ত এলাকায় চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে শুক্রবার মাইমুরের ওপর হামলা চালানো হয়।
মগরাহাট বাজারে মাইমুরের মোবাইলের দোকান আছে। জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসাও করতেন মাইমুর। একই সঙ্গে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, একই ব্যবসার সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ড জড়িত। শনিবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে।
No comments:
Post a Comment