জরাজীর্ণ-কঙ্কালসার অবস্থা! সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে পুরনো সেতু
নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ৩০ জুলাই: জরাজীর্ণ-কঙ্কালসার অবস্থা। রেলিং জুড়ে শ্যাওলার দাপাদাপি। সিমেন্ট খসে বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বোল্লা পঞ্চায়েতের পার পতিরাম রায়পুর গ্রামের এই সেতুর বয়স এখন পঁয়ত্রিশ বছর। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে দশ দশটা বছর, তার মধ্যে একবারও সেতুর কোনও সংস্কার হয়নি। আর এতেই অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, যেকোনও দিন কোনও বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যান চলাচলের সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।
সাইকেল, বাইক ছাড়াও রায়পুরের এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করে। কৃষি প্রধান এলাকা রায়পুর। রোজ প্রচুর পরিমাণে আলু, বেগুন, পটল, মুলো, শসা, তরমুজ, কপি, লাউ, কুমড়ো, লংকা, শাকসবজি বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে ছোট লরি বা মিনি ট্রাক এই রাস্তার ওপর দিয়ে প্রায় সব সময়ই যাতায়াত করে। এছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে রোজ শত শত গ্রামবাসী বড় রাস্তায় যাওয়া-আসা করেন। সেতুর স্বাস্থ্য বিষয়ে বহুবার তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ।
এই জরাজীর্ণ সেতুর পাশেই একটি সেলুনের দোকান চালান রতন শীল। তাঁর কথায়, "প্রায় ১০ বছর ধরে এই সেতুর অবস্থা খারাপ। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে যে, সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন গেলেও আমাদের চিন্তা হয়। মনে হয়, এই বুঝি সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের সকলেই বিষয়টি জানেন। কিন্তু কারও কোনও হেলদোল নেই।"
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা বিভূতি পাল ক্ষোভ উগরে বলেন, 'কত বছর ধরে যাতায়াত করছি এই সেতু দিয়ে। এখন সেতুটি একেবারে জরাজীর্ণ ও কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি আজও। তাই সংস্কারও হয়নি। আদপেও কি কোনওদিন ঘুম ভাঙবে? জানি না।' বাকি এলাকাবাসীদের একই কথা। সেতু সংস্কার কবে হবে! সেই অপেক্ষায় সকলে।
No comments:
Post a Comment