ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক বোমা হামলা! বাথরুমে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ভোটগ্রহণ আধিকারিক - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 8 July 2023

ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক বোমা হামলা! বাথরুমে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ভোটগ্রহণ আধিকারিক

 


ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক বোমা হামলা! বাথরুমে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ভোটগ্রহণ আধিকারিক



নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৮ জুলাই, কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দিনভর চলে হিংসার রক্তক্ষয়ী খেলা।  ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ আধিকারিক ও ভোটগ্রহণ কর্মীদের জীবন বিপন্ন।  দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হঠাৎ বোমাবর্ষণ হয়।  গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী।  এমন পরিস্থিতিতে বাথরুমে ঢুকে প্রাণ বাঁচান ভোটগ্রহণ আধিকারিক।


 বোমা হামলায় বুথের সামনে পড়ে যান তৃণমূল কর্মী আনিসুর রহমান।  তাঁর স্ত্রী তৃণমূল প্রার্থী।  বোমার আঘাতে তার মাথার একটি অংশ পুড়ে যায়।  এ সময় বুথের ভেতরে থাকা ভোটগ্রহণ আধিকারিকরা কিছুই বুঝতে পারেননি।


 কয়েক মুহুর্তের মধ্যে শত শত লোক পৌঁছে যায় এবং অবিরাম বোমাবর্ষণ হয়।  বাসন্তী ব্লকের ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুল মালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৩ এবং ১০৩ নম্বর দুটি বুথ। প্রিসাইডিং অফিসারের হাত থেকে রক্ষা পান।


 অনুষ্ঠানটি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে।  ভোটগ্রহণ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই বেশ ভালোভাবেই নির্বাচন চলছে।  আচমকাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুথে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী।



তিনি প্রথমে বুথের 'ভিতরে' ও 'বাইরে' অবরুদ্ধ করেন।  বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ভোট দিতে থাকে।  এরপরই বুথের ভেতরে গোলাগুলি শুরু হয়।  প্রিজাইডিং অফিসার কোনওমতে দরজা খুলে বাথরুমে যান।


 বুথের ভিতরে একটি বাজারের ব্যাগ পড়ে ছিল।  এখানেই বোমা রাখা হয়েছিল।  একজন ভোটগ্রহণ আধিকারিক বলেন, "আরে আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে এসেছি, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেয়েছি। বহির্গমন ও প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং বোমা ঢুকে যাচ্ছিল।  আমরা কয়েকজন পোলিং অফিসার।  কোনওমতে দরজা খুলে পালিয়ে যাই।  একদল এসে কাগজ ছিঁড়তে শুরু করলে ঘটনার সূত্রপাত।  দ্বিতীয় দলটি বোমা হামলা শুরু করে।  একজন সৈনিক ছিল।  মৃত্যুর ভয়ে সেও পালিয়ে যায়।"



 ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ভেঙে পড়েন এক ভোটগ্রহণ আধিকারিক।  তিনি বলেন, “আমরা বারবার ফোন করছি।  একজন সেক্টর অফিসার ফোনও ধরেননি।  আমাদের জীবন বিপন্ন।"


 তিনি বলেন, "আমাদের বলা হচ্ছে সেনাবাহিনী যাবে, পুলিশ যাবে।  কিন্তু কবে আসবে?  আমি মরার পর?  তিনি আর কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।  প্রশ্ন উঠেছে এরা সরকারি কর্মচারী।  ভোটের দায়িত্বে এসেছিলেন।  কেন তাকে এভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে?"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad