আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 2 July 2023

আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল


 আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল



নিজস্ব সংবাদদাতা, ০২ জুলাই, কোচবিহার : রাজ্যপালের সফরের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সহিংসতার মধ্যে উত্তপ্ত কোচবিহারের গীতালদহ।  তৃণমূল কংগ্রেসের আঞ্চলিক সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।  গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রবিবার সকালে নির্যাতিত তৃণমূল নেতাকে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছান।  এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় তৃণমূল এবং আইএসএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।


 চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরে আইএসএফ-তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব উত্তপ্ত।  আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী উপস্থিত রয়েছে।


 তৃণমূলের অভিযোগ, আজ, রবিবার সকালে তৃণমূলের এক প্রার্থী কৃষ্ণপুর এলাকায় প্রচারে যাওয়ার সময় আইএসএফ কর্মীরা তাঁকে অতর্কিত হামলা চালায়।  আইএসএফের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা একজোট হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।  পুরো ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।


 রাজ্যপাল সংক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করেন


 অন্যদিকে, রাজ্যপাল পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩ নিরাপদে সম্পন্ন করতে সক্রিয়।  কখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছেন আবার কখনও পুলিশ-প্রশাসনকে সঠিক ভূমিকা পালনের বার্তা দিয়েছেন।


 রাজভবনে খোলা হয়েছে শান্তি ঘর।  সেখানে ফোন করে অভিযোগ জানানো হচ্ছে।  শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল হিসেবে তিনি সহিংসতা-বিধ্বস্ত ভাঙড়, ক্যানিং ও কোচবিহার সফর করছেন।  তিনি নিহত ও আহত রাজনৈতিক কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন।  বিরোধীদের অভিযোগ শুনছেন।


 যদিও রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল।  তাঁর অভিযোগ ছিল বিজেপি নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে খুন করা হলেও এবার পঞ্চায়েতে সবচেয়ে বেশি হিংসার শিকার হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।



কয়েকদিন আগে গীতালদহে খুন হন বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মী।  রাজ্যপাল রাতে তার পরিবারকে ডেকেছিলেন।  পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার পর রাজ্যপাল তাদের যথাযথ সাহায্যের আশ্বাস দেন।


 এদিকে আবার গরম হয়ে গেল গীতালদহ।  ওই এলাকার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের আঞ্চলিক সভাপতি মাহফুজার রহমানকে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাতেই কোচবিহার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


 খবর পেয়ে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠান।  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের বার্তা দেন তিনি।  এরপর রবিবার সকালে রাজ্যপাল ব্যক্তিগতভাবে হাসপাতালে যান।


 ক্ষতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করে একসঙ্গে থাকার বার্তা দেন তিনি।  যদিও তৃণমূল অভিযোগ করেছে, রাজ্যপাল ক্ষতিগ্রস্ত তৃণমূল শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী করেননি।  হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে বিজেপি বা অন্য বিরোধীরা।


 একই সময়ে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেছেন যে "রাজ্যপাল তার সাংবিধানিক দায়িত্ব জানেন।  সেজন্য তৃণমূলকে শেখানো উচিৎ নয় তাদের কী করা উচিৎ নয়।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad