বাংলায় থামছে না হিংসা! উদ্ধার বিজেপি কর্মীর রক্তে ভেজা দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৩ জুলাই, পুরুলিয়া : রাজ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ফের প্রাণ হারিয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। সবং-এর পর সোমবার পুরুলিয়ায় এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ পাওয়া গেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতি। নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পর একদিন নিখোঁজ এক বিজেপি কর্মীর রক্তে ভেজা দেহ পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা (৪৮)। তিনি পুরুলিয়ার বোরো থানার অন্তর্গত কেন্দাদি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পুরুলিয়ার বান্দোয়ান বিধানসভার কেন্দাদি গ্রামের ব্লক ২ মানবাজারের হেনসালা বুথ ২০২-এর বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন ওই বিজেপি কর্মী। সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ কেন্দ্রী থেকে ঝরিয়াদি গ্রামের দিকে যাওয়ার পাকা সড়কে এক বিজেপি কর্মীর রক্তে ভেজা দেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।
বান্দোয়ান বিধানসভার মানবাজার ২ ব্লকের বোরো-জারগোরা এলাকার কেন্দাদি গ্রামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির বান্দোয়ান কিশোর মণ্ডলের সভাপতি কৃতিবাস মাহাতো বলেন, “বঙ্কিম আমাদের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন।"
তিনি বলেন, "পুলিশের উচিৎ কুকুর এনে যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা।" বিজেপি নেতা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে স্নিফার কুকুর ঘটনাস্থলে না আসা পর্যন্ত তাকে মৃতদেহ তুলতে দেওয়া হবে না।
কৃতিবাস মাহাতো আরও বলেছেন যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের গাড়িতে হামলা করার জন্য পুলিশ তিনজনকে মিথ্যাভাবে জড়িয়েছিল। ওই তিন অভিযুক্তের মধ্যে বঙ্কিম হাঁসদার নামও ছিল।
রাজ্যকে শ্মশানে পরিণত করা হচ্ছে – বিজেপি
অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নির্বাচনের নামে সহিংসতা চলছে এবং মৃত্যুর মিছিল হচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে গোটা রাজ্যটাই শ্মশানে পরিণত হয়েছে।
বিজেপির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বিজেপি কর্মীরা তাদের এলাকায় প্রচার চালাচ্ছিল। নির্বাচনী প্রচারণার সময় রবিবার থেকে তিনি নিখোঁজ হন। সোমবার তার দেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থক দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। বিজেপি বলছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিভিন্ন এলাকায় ভয় ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে না যায় এবং ভোট না দেয়।
No comments:
Post a Comment