পঞ্চায়েত আসনে জিতলেন দন্ডি কাণ্ডের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১১ জুলাই, কলকাতা : তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাকে দন্ডি কাটার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে তৃণমূল ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ ছিল, তিনজন আদিবাসী মহিলাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ওই তিনজনের মধ্যে শিউলি মার্ডিকে টিকিট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে দেখা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফনগর পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর চক বলরাম আসন থেকে শিউলি জিতেছেন।
তিনি ১০৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূলের একাংশ বলছে, এই ভাবে বিজেপির অভিযোগের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে দল।
৬ এপ্রিল বহু আদিবাসী মহিলা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন শিউলি, মার্টিনা কিস্কু, ঠাকরান সোরেন, মালতি মুর্মু। ২৪ ঘন্টার মধ্যে, শিউলি সহ চারজনই আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন।
জানা গেছে, তৃণমূলে ফেরার জন্য রাস্তায় দন্ডি কাটতে হয়েছিল। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নাম শাসক দল অন্তর্ভুক্ত করায় তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরপরই মাঠে নেমেছে বিজেপি। শাসক দলের দিকে আঙুল তোলে তারা। বিজেপি বলেছিল, "প্রকৃত অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তারা লুকিয়ে আছে।" তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'জনসংযোগ সফরে' তিন মহিলার সাথে দেখা করেছিলেন।
পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৭ এপ্রিল যা ঘটেছে তা সভ্য সমাজে কেউ সমর্থন করে না। দল হিসেবে সমর্থন করতে পারে না। তৃণমূল হোক বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, এই ঘটনাকে কেউ সমর্থন করতে পারে না।"
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমি শুনেছি যে আমাদের মহিলা সংঘের সভাপতির এতে ভূমিকা ছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।” তিনি তিনজন আদিবাসী মহিলার সাথে দেখা করেছিলেন। তিনিও তাদের সঙ্গে চা পান করেন।
শাসক দল এবং বিরোধীদের চাপের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিউলিকে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল। যদিও বিজেপি বলছে, এই চমক তাদের 'প্রায়শ্চিত্ত' করার জন্য। শেষ পর্যন্ত শিউলিকে প্রার্থী করার তৃণমূল কৌশল সফল হয়েছে বলে দলটির দাবী। এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের আদিবাসীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এখন এই জয়ের পরে, তৃণমূল আবার আদিবাসীদের মধ্যে তাদের ভাবমূর্তি উন্নত করতে সক্ষম হবে।
No comments:
Post a Comment