"বাংলাদেশ থেকে আসছে, আমি কী করব?", ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৮ জুলাই, কলকাতা : রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০ ছাড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে রাজ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিবও। এর আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গু আসছে। আমি কী করব?"
বিধানসভা অধিবেশনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ডেঙ্গু আসছে বাংলাদেশ থেকে। ধরা পড়া সব মানুষই বাংলাদেশের। আমি কী করব?"
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ম্যালেরিয়াও ডেঙ্গুর সঙ্গী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ জন। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০ ছাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান দেখায় যে মোট শিকারের গড়ে ৬৫ শতাংশ গ্রাম বাংলার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতি মোকাবিলা ও পর্যবেক্ষণ করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এর আগে বলেছিলেন, "প্রতিবেশী দেশগুলিতে, বিশেষ করে ঢাকায় ডেঙ্গুর পরিস্থিতি গুরুতর।" তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে সকল ইমিগ্রেশন পয়েন্টে রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তিনি স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেবেন। এদিন বিধানসভায় সেই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হল ইমিগ্রেশনের সময়ই রক্ত পরীক্ষা করানো হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীরা ডেঙ্গুর বাহক হতে পারে বলে মনে করছেন কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিক। ট্রাভেল হিস্ট্রিতে পরিস্কার যে রানাঘাট-১, রানাঘাট-২, হরিণঘাটা, কৃষ্ণনগর-১, আমডাঙা, বসিরহাট ডেঙ্গু আক্রান্তদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। সেক্ষেত্রে, সবগুলোই বেশ সীমান্তরেখার অঞ্চল। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতির দায়ভার বাংলাদেশের কাঁধে চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে ডেঙ্গু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "মশা মারতে টিম নিয়ে যান। আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, শাহজান শেখ, জাহাঙ্গীর শেখকে নিন। তারা সবাই সীমান্ত বিশেষজ্ঞ। তারা রোহিঙ্গাদের পারাপার করতে পারে। তাই তাদের নিয়ে যান। উদয়ন গুহকেও নিতে পারেন। চার্টার্ড ফ্লাইটে নিয়ে যান।"
No comments:
Post a Comment