"দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তেন, এমন ব্যক্তিকেও খুন করা হয়েছে", মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা অধীরের
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৯ জুলাই, মুর্শিদাবাদ : পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেছেন যে, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের সহিংসতায় এমন একজন ব্যক্তিও মারা গেছেন যিনি দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তেন।" রবিবার মুর্শিদাবাদে মৃত কংগ্রেস কর্মীদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী।
অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ভোটের দিন বাংলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদেই মারা গেছেন ৯ জন। খড়গ্রাম থেকে রেজিনগর, লালগোলা থেকে বেলডাঙা, সর্বত্র রক্ত ঝরেছে।
নয়ডায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন হাজি লিয়াকত আলী শেখ (৬২)। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আজ সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে অধীর চৌধুরী আবারও তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন।
দুই-চারটি আসন হারলেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার যায় না
অধীর চৌধুরীর দাবী, “যাকে খুন করা হয়েছে তারা নির্দোষ। সবাই জানে যে তিনি একজন ভদ্র, সৎ, ধার্মিক মুসলিম। তার কোনও সমস্যা ছিল না।"
এর পর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এত মানুষকে মেরে ফেলবেন, আপনি কি মহান হবেন? আপনি যদি এই লোকদের খুন না করতেন তবে আপনি কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতেন?"
তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুই থেকে চারটি আসন হারলেও আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন কাঁপাতে পারব না, কিন্তু আপনি কী করছেন? আর কত মানুষকে খুন করবেন? নির্বাচনের পরেও এই বাংলায় সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।"
১১ জুলাই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অধীর বলেন, “ভোট গণনা ১১ জুলাই। সেদিন আমরা দেখব আরেকটি সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত বাংলা। জয়-পরাজয় বাংলার আরেকটি ভয়ঙ্কর দিন হবে।"
নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে অধীর চৌধুরী বলেন, "এই নাটক আমরা জানি। এই নাটক আমরা বুঝি। কিন্তু, এই করতে গিয়ে বাংলা রসাতলে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ মুর্শিদাবাদে প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিল, মালদায় প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিল।"
এই প্রতিবাদ শোনা যাবে বলে দাবী করেন তিনি। সবাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। একই সময়ে, অধীর চৌধুরী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য পুলিশকেও কটাক্ষ করেছেন।
তিনি ব্যঙ্গাত্মক সুরে বলেন, “এখন তৃণমূল আর পুলিশের মধ্যে কোনও পার্থক্য দেখছি না। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন যেতে পারে না, সেখানে পুলিশ যাচ্ছে। কংগ্রেস বসবে না। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করব, আদালতে প্রতিবাদ করব, সবই করব।”
No comments:
Post a Comment