সংশোধনাগারে পার্থর আঙুলে আংটি! সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ জুলাই, কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটি পরার জন্য প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশের পর সংশোধনাগার বিভাগ হেস্টিংস থানায় সংশোধনাগার সুপার দেবাশীষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ডিআইজি সংশোধনাগার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সুপারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আদালতের নির্দেশে ওই চিকিৎসকের জবানবন্দি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর হেস্টিংস থানায় সংশোধনাগার সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাক্তন সংসদীয়, শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটর দীপঙ্কর কুন্ডু বলেন, "আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ডিআইজি কারের পক্ষে হেস্টিংস থানায় প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগার সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।"
সংশোধনাগার সুপারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ২৭শে জুন হেস্টিংস থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক পরিষেবা আইনের ৮৩ ধারার অধীনে একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় এক বছর ধরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। সম্প্রতি সংশোধনাগারে গিয়েও আঙুলে আংটি পরা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
অভিযোগ উঠেছে, নিয়মের পরিপন্থী হয়েও তিনি ৯ মাস সংশোধনাগারে হাতে আংটি পরিয়ে রেখেছেন। আদালতে এই বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, ইডি-র কৌঁসুলি বলেছিলেন যে 'জেল কোড' অনুসারে সংশোধনাগারে কোনও গয়না পরা যাবে না।
জেল হেফাজতে আংটি পরা নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত
কিন্তু সেই নিয়ম ভাঙলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে আংটি খুলে ফেলেন পার্থ। আদালতে তিনি দাবী করেন, স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি আংটি পরেছিলেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সংশোধনাগার সুপার দেবাশীষকে তলব করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংশোধনাগারে থাকার পরও কেন আংটি পরছেন তা লিখিতভাবে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেবাশীষ আদালতে জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল ফুলে যাওয়ায় তার আংটি খোলা যাচ্ছে না। সংশোধনাগার সুপারের জবাবে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশের পর হেস্টিংস থানায় সংশোধনাগার সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
No comments:
Post a Comment