রাস্তা যেন ধানক্ষেত! সংস্কারে নামলেন পাড়ার মহিলারাই
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৪ জুলাই: ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীর। এদিকে বর্ষায় অবিরাম বৃষ্টির জেরে রাস্তা এখন ধান ক্ষেতে পরিণত হয়েছে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। স্কুল পড়ুয়া, বয়স্ক থেকে শুরু করে কেউই যাতায়াত করতে পারছেন না। একাধিক বার রাস্তা সংস্কারের দাবী তুললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অসম মোড় সংলগ্ন তাঁরা পাড়ার মহিলারা চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগালেন। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাস্তা সংস্কারের।
প্রায় শতাধিক মানুষের বসবাস গ্রামে। পাকা রাস্তা নেই, মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। লাগাতার বৃষ্টির জেরে আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন। মাটির রাস্তা খানাখন্দে ভরা ও কাদায় নাজেহাল অবস্থা গ্রামবাসীর। স্থানীয়দের দাবী, প্রায় পাঁচ বছর থেকে গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা। অন্য সময় যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার সময় জল-কাদায় রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে যাতায়াত করা যাচ্ছে না, গাড়ি ও টোটো তো দূরের কথা। একাধিক বার সমস্যা কথা জানিয়ে বিডিও অফিসে স্মারকলিপি ও বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যাকে জানানো হয়, কিন্তু কাজ হয়নি। এখন রাস্তার এক হাঁটু কাদা।
শুক্রবার গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে রাস্তায় মাটি ফেলেন। রাস্তা তৈরি করতে গেলে শ্রমিকের প্রয়োজন। শ্রমিকের পারিশ্রমিকের টাকা না থাকায় গ্রামের মহিলারা মাটি দিয়ে রাস্তা উঁচু করার কাজে হাত লাগিয়েছেন। গ্রামবাসী পুজা রায় দাস বলেন,"অনেকবার জানানোর পরেও রাস্তা সংস্কার হয়নি। সদ্য জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা আশ্বাস দিয়েছেন রাস্তা সংস্কার হবে। কিন্তু এখন তো যাতায়াত করতে হবে, এই কারণে চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে।"
সদ্য জয়ী তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পিংকি রায় বলেন, "সত্যি রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল। নতুন বোর্ড হওয়ার পর প্রথমে গ্রামের রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করব।"
No comments:
Post a Comment