এটাই পৃথিবীর শেষ রাস্তা, ভুলেও একা যাবেন না - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 28 July 2023

এটাই পৃথিবীর শেষ রাস্তা, ভুলেও একা যাবেন না



এটাই পৃথিবীর শেষ রাস্তা, ভুলেও একা যাবেন না


 প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৮ জুলাই: পৃথিবীতে শেষ রাস্তা এটাই কারণ এরপরে নেই কোনও দেশ আর নেই কোনও রাস্তা। এখানে আপনি একা যেতে পারবেন না কারণ সেখানে একা যাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ । কী কারণে নিষিদ্ধ এবং তারপরের স্থানে কি রয়েছে তা জানুন। 



 ইউরোপের নরওয়েতে ই-৬৯ হাইওয়ে টি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তার চূড়ান্ত রূপ দিতে কেটে যায় আরও ৪বছর শেষে ১৯৩৪ সালে তৈরি হয় রাস্তা নির্মাণের কাজ। এই দীর্ঘ রাস্তাটি তৈরি করতে সময় লাগে ৬২ বছর। পরে ১৯৯২ সালে শেষ হয় রাস্তা তৈরির কাজ। এই রাস্তাকে পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলে আখ্যা দেওয়া হয়। রাস্তাটির ঠিকানা হলো ইউরোপের নরওয়েতে। 


নরওয়ের ওই ই-৬৯ হাইওয়ে তে পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হাঁটার শখ অনেকেরই।



পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে। রাস্তাটিকে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হয়, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেখানে কি কেউ যেতে পারেন, কীভাবে যাওয়া সম্ভব সেখানে, তাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নরওয়ের ই-৬৯ হাইওয়ে উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গেছে। এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে।


এই ই-৬৯ হাইওয়ের দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি ট্যানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে যে লম্বা ট্যানেলটি রয়েছে তা হলো নর্থ কেপ। ওই নর্থ কেপ ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। নর্থ কেপ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছায় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা।



ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ংকর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ই-৬৯ হাইওয়েতে একা যাওয়ার কোনো অনুমতি নেই। ভয়ানক গতিতে বাতাস বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা।


এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনো পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না। তবে একটু গরম কালে এই রাস্তায় দল বেঁধে বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad