পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বই! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 22 July 2023

পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বই!

 


পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বই! 



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ জুলাই: বই তো আমরা অনেকেই পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীতে এমন অনেক বই আছে যা খুবই রহস্যময়? এই বইগুলো পড়া এবং বোঝা সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এবং এমন বই সত্যিই রয়েছে। এই সকল বইয়ের  মধ্যে চারটি বই সম্পর্কে উল্লেখ করা হল এই প্রতিবেদনে। 


১. ভয়নিচ ম্যানুস্ক্রিপ্ট (Voinich Manuscript)- ১৫ শো শতাব্দীতে লেখা এই বইটি কিছুটা এমন মনে করা হয়, যেন এতে কোনও উদ্ভিদ বা পাতার সম্পর্কে বলা হয়েছে। কিন্তু এতে দেখানো সমস্ত উদ্ভিদ বা পাতার আমাদের পৃথিবীতে কোনও অস্তিত্ব নেই এবং এখানে কিছু গর্ভবতী মহিলাদের আঁকা হয়েছে এবং তার সাথে আছে কয়েকশো আরও ছবি, যাতে দেখানো হয়েছে জালে রাখা কিছু পাতা, উদ্ভিদ এবং ভেষজ। কিন্তু এই ধরণের পাতা বা উদ্ভিদ আমাদের পৃথিবীতে নেই। তাহলে এই বইয়ের অর্থ কি? বলা হয় যে, এই বই গ্যালাক্সির অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছে এবং ওই গ্রহের পরিবেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে। 


এটি লেখা হয়েছে একটি অজানা ভাষায়। সারা পৃথিবীর সাংকেতিক লিপিকররাও এই বইয়ের মানে বুঝতে পারেননি ও এই ভাষাকে অনুবাদও করতে পারেনি। এই বইটি ইউরোপের একজন বই বিক্রেতার মাধ্যমে ১৯১২ সালে কেনা হয়েছিল এবং বলা হয় যে, এর আগে এই বই জার্মানের শাসক রেডলফের কাজ থেকে পাওয়া গিয়েছিল ও এখন এটি ইয়ালা ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরিতে রয়েছে।


২. রোহনক কডেক্স (Rohonc Codex)- পৃথিবীতে অবস্থিত অদ্ভুত বইয়ের মধ্যে রহনস্ক কডেক্সের নাম খুবই জনপ্রিয়।না কেউ  এটা জানে যে, এর মধ্যে কি লেখা হয়েছে আর না কেউ জানে এই বইটি কোথায় থেকে এসেছে। ১৯ শতকের শুরুতে লেখা এই বইটি হাঙ্গেরির সাইন্স বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল। একটি মুখ্য কারণ, যার জন্য এটি কেউ বুঝতে পারেনি, সেটি হল সাধারণভাবে যে কোনও বইতে ২০ থেকে ৪০টি অক্ষর থাকে। কিন্তু রহনস্ক কডেক্স ৪৫০ টি পৃষ্ঠায় একটি এমন ভাষায় লেখা হয়েছে, যার মধ্যে কমপক্ষে ২০০ অক্ষর আছে। মনে করা হয় হাঙ্গেরি থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া পর্যন্ত এটি যে কোনও জায়গায় লেখা হতে পারে। আজও মানুষ এই বিষয়ে তর্ক করে যে, এই বইতে আসলে কি লেখা হয়েছে। 


৩. দ্য বুক অফ সোয়েগা (The Book of Soyga)- একজন বড় ম্যাথমেটিশিয়ান জন.ডি- এর মনে হল যে তার কথা আকাশ থেকে আসা কোনও এলিয়েনের সঙ্গে হচ্ছে। জন সায়েন্স এবং আত্মার দুনিয়া দুটিতেই বিশ্বাস করতেন এবং সেই এলিয়েনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর লন্ডনের সবচেয়ে বড় ল্যাবরেটরি না হওয়া সত্ত্বেও উনি তার পুরো মন লাগিয়ে দিলেন সেখানে রাখা একটি অজানা বইয়ের ওপর, যেটি কি না ধাধার মতো লেখা হয়েছিল এবং এতে ৪০ হাজার অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছিল। যেটি খুবই অদ্ভুত ভাবে লেখা হয়েছিল। 


যত যত জন সেই বইয়ের মানে বোঝার চেষ্টা করতে লাগলেন।তত তত জন বুঝতে শুরু করলেন যে, এই বইটি ম্যাজিক্যালল মন্ত্রে ভরপুর হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে শেষের ৩৬ টি পৃষ্ঠা শেষের সব পৃষ্ঠা শব্দের একটি টেবিলে ভরে পড়েছিল। একটি এমন কোড, যেটি জন বুঝতে পারেনি এবং সেটি বোঝার জন্য জন পৃথিবীর বাইরের শক্তির সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করেন।  


উনি বলেছিলেন, ইউরোপে অবস্থিত আত্মা তাকে বলেছে এই বই বাবা অ্যাডাম ও ইভের সময় কালের এবং এই বই অ্যাডামকে দেওয়া হয়েছিল এবং এই বইয়ের মানে বোঝা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এই বইটি কম পক্ষে ৫০০ বছর আগে হারিয়ে গেছিল। আজকের সময় এই বইটি শুধুমাত্র দুটি কপি অবশিষ্ট রয়েছে, যার মধ্যে একটি ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও অন্যটি অস্কফোর্ড লাইব্রেরিতে রয়েছে। এই বইতে লেখা কোড আজ পর্যন্ত বোঝা সম্ভব হয়নি। 


৪. কডেক্স সেরাফেনিয়াস (Codex Seraphinianus)- একটি এমন ভাষায় লেখা বই যা আজ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেনি। এটি একটি অদ্ভুত ইনসাইগোপিরিয়ার মতো। ১৯৮১ সালে পাবলিস করা এই বইটি একজন ইটালিয়ান আর্কিটেক্ট লিউলি সেরাফেনিয়াস নামের ব্যক্তি লিখেছিলেন। এই বইটি খুবই বিচিত্র, অদ্ভুত। এই পুরো বইটি হাতে লেখা হয়েছিল এবং এতে আঁকা সমস্ত চিত্র হাতে আঁকা হয়েছিল। হাতে লেখা এই বইটি সম্পূর্ণ পড়তে ২ বছর সময় লেগেছিল এবং এতে যত চিত্র আছে সেগুলি তৈরি করার কাজও লিউলি সেরাফেনিয়াস করেছিলেন। 


আজও পৃথিবীর বড় বড় সাংকেতিক লিপিকররা এই বইয়ের অর্থ বুঝতে পারেনি। শুধু এটাই বুঝতে পারা গেছে এই বইয়ের নাম সেরাফেনিয়াস। সেরাফেনি নামের প্রতিরূপ। এই বইতে লেখা ভাষায় ২৪টি অক্ষর আছে।  কিন্তু আজও এই বইতে কি লেখা আছে, তা কেউ জানে না। এই বই কয়েকটি দেশে পাবলিক করা হয়েছে এবং কয়েকটি Website যেমন -Flipkart এও Available রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad