৪০ পেরিয়েও উপচে পড়ছে যৌবন, এই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য কি করেন ঐশ্বর্য রাই
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩১ আগস্ট: বলিউডের সেরা সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন–এর নাম থাকবে প্রথম সারিতে। এই সৌন্দর্যের খাতিরে তিনি বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব পেয়েছিলেন আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে। তবে ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও ঐশ্বর্যের চেহারাতে কিন্তু খুব একটা পার্থক্য নজরে পড়বে না। বরং দিনে দিনে আরও বেশি গ্ল্যামারস হয়ে উঠেছেন তিনি। যেমন তার ত্বক, তেমন তার চুল! ঐশ্বর্যর এত সৌন্দর্যের রহস্য কী!
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বয়স এখন ৪৯ বছর। আর কিছুদিন পরই তিনি পঞ্চাশের গণ্ডি পার করে ফেলবেন। তার সমকালীন সময়ের অভিনেত্রীদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ঐশ্বর্য নিজেকে খুব ভালোভাবে ধরে রেখেছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো বিশ্ব সুন্দরী তথা বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ত্বক এবং চুলের যত্নে রোজ কী কী করেন।
ঐশ্বর্য কিন্তু ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক রূপচর্চার উপকরণের উপর ভরসা রাখেন। তিনি নিয়মিত হলুদ, মধু, শশার রস এবং দই দিয়ে রূপচর্চা করতে পছন্দ করেন। বাজার চলতি কেমিকালজাত দামি কসমেটিকস তার একেবারেই পছন্দ নয়। তিনি ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেন। সেই সঙ্গে রোজ নিয়মিত শরীর চর্চাও করেন।
রোজ সকালে উঠে অন্তত ঘন্টাখানেক সময় তিনি শরীর চর্চার জন্য ব্যয় করেন। তার জন্য তাকে জিমে যেতে হয় না। তিনি নিয়মিত কিছুটা সময় হাঁটতে যান। কিছুক্ষণ যোগা করেন। মাঝে মাঝে দৌড়ে নিজের শরীরে রক্ত সঞ্চালন করেন। এছাড়া খাওয়াদাওয়ার প্রতিও তিনি ভীষণ যত্নশীল। রোজ কী কী খাচ্ছেন তার দিকে সম্পূর্ণ নজর থাকে তার। তবে তার ডায়েট চার্ট কিন্তু আহামরি কিছু নয়।
রোজ সকালে উঠে এক গ্লাস গরম জলের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে তার দিন শুরু হয়। এরপর তিনি প্রাতরাশ করেন। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন, সকালবেলায় স্বাস্থ্যকর এবং ভরপেট খাবার না খেয়ে তিনি কোনও কাজ করেন না। তার খাবারের তালিকায় থাকে শাকসবজি এবং ফল। বাইরের খাবার তিনি একেবারেই বাদ দিয়েছেন।
ঐশ্বর্য দুপুরে রোজ ডাল, রুটি ও সেদ্ধ সবজি খান। রাতে তিনি খান সামান্য সেদ্ধ সবজি এবং স্যালাড। মাছ এবং মাংস খেলে তিনি গ্রিল করে খেতে পছন্দ করেন। খাবার থেকে তেল এবং চর্বিজাত উপকরণ তিনি একেবারেই বাদ দিয়েছেন। ঐশ্বর্য চা এবং কফিও খান না। সেই সঙ্গে সফট ড্রিঙ্কসও পান করেন না। এর বদলে তিনি সবসময় ফলের রস খেতে পছন্দ করেন।
No comments:
Post a Comment