সাদা চুলের সমস্যার সমাধান হবে আয়ুর্বেদিক প্রতিকারে

 

সাদা চুলের সমস্যার সমাধান হবে আয়ুর্বেদিক প্রতিকারে

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৫আগস্ট : সুন্দর  লম্বা চুল কে না পেতে চায়!  কিন্তু বর্তমান যুগে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, দূষণ এবং চুলের পরিপূর্ণ পুষ্টির অভাবের কারণে সময়ের আগেই চুল সাদা হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।  একটি নির্দিষ্ট বয়সের আগে চুল পাকা হয়ে যাওয়া সত্যিই চিন্তার বিষয়।  আজকাল খুব কম বয়সীদেরও চুল সাদা হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।  সাদা হওয়ার কারণে অনেক মহিলা এবং পুরুষও বিয়ে করতে অসুবিধার সম্মুখীন হন। চলুন তাহলে জেনে নেই  সাদা চুলের সমস্যার সমাধান-

কারণ:

 মেলানিনের অভাবের কারণে অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যায়।  এর আরেকটি কারণ হল সুষম খাদ্যের অভাব, যার কারণে আপনার শরীর ও চুল সম্পূর্ণ পুষ্টি পায় না।  আমাদের শরীরে এমন অনেক কোষ আছে যা একসাথে কাজ করে চুল কালো করে।  তবে এই কোষগুলো সঠিক পুষ্টি না পেলে সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।  এর ফলে চুল সাদা হতে শুরু করে।

 ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

 বাজার থেকে ওষুধ খাওয়া বা ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা করানো এই সাদা চুলের জন্য একটি সহজ উপায়, কিন্তু একই সঙ্গে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক বেশি দেখা যায়।  কিন্তু আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের সাহায্যে শুধু মাথার সাদা চুলই নয়  দাড়ির চুলও কালো হয়ে যাবে।

 চুল পাকা হওয়ার প্রথম কারণ হল বংশগত, দ্বিতীয়টি হল প্রচুর টেনশনে থাকা, তৃতীয়টি হল অতিরিক্ত চিন্তা করা, চতুর্থটি হল অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা ইত্যাদি এবং পঞ্চমটি হল গরম প্রভাবযুক্ত পদার্থের অতিরিক্ত সেবন।  

 আমলকী জুস খুবই উপকারী:

 আমলকী চুল কালো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়।  যদি প্রতিদিন আমলকীর রস পান করেন তবে তা শীঘ্রই চুলে সম্পূর্ণ পুষ্টি যোগাবে।  এক মাস ধরে একটানা এই রস পান করলে , চুলে এর প্রভাব দেখতে শুরু করবে।

 

 কারি পাতার রস উপকারী:

 চুল কালো করতে কারি পাতা ব্যবহার করাও অনেক উপকারী।  প্রতিদিন কারি পাতার রস খেলে শরীর ও চুলে পুষ্টি যোগাবে।  এর ভালো ফল শীঘ্রই চুলে দেখা যাবে।  নিয়মিত এর রস পান করলেই এর উপকার পাবেন।  এর রস তৈরি করতে, প্রায় ১০০ মিলি জলে দশ থেকে পনেরটি কারি পাতা দিয়ে,  জল অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত এটি ফোটাতে হবে।  জল অর্ধেক থেকে গেলে তা ছেঁকে পান করতে হবে।

 নারকেল তেল ও আমলকী পাউডারের মিশ্রণ:

 আমলকীর গুঁড়ো এবং নারকেল তেল মিশিয়ে চুল ও দাড়ি ম্যাসাজ করা খুবই উপকারী।  এর জন্য আমলকী পাউডারের পরিমাণ নারকেল তেলের চেয়ে প্রায় ২৫% বেশি হওয়া উচিৎ।  এবার আমলকী গুঁড়ো এবং নারকেল তেল প্রায় এক থেকে দুই মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তেল হালকা গরম হয়ে গেলে ম্যাসাজ করতে হবে।

নারকেল তেলের সঙ্গে কারি পাতা :

 নারকেল তেলে কারি পাতা মিশিয়ে লাগালে চুলের জন্য খুবই উপকারী।  কারি পাতা এবং নারকেল তেলের মিশ্রণ চুলে লাগালে চুলকে স্বাস্থ্যকর ও চকচকে দেখায়।  এটি ব্যবহার করতে, নারকেল তেলে প্রচুর কারি পাতা সেদ্ধ করে এই তেলটি সামান্য উষ্ণ হয়ে আসলে মাথা এবং দাড়ি ম্যাসাজ করতে হবে।