চোখের ফ্লু রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কেন?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২০আগস্ট : দিল্লি-এনসিআরে এবছর বর্ষার জন্য অনেক এলাকা প্লাবিত ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আর যার কারণে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যাকটেরিয়া রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে। বর্তমানে, দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কনজেক্টিভাইটিস অর্থাৎ চোখের ফ্লু রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালগুলোর চক্ষু বিভাগের ওপিডিতে আসা প্রতি তৃতীয় রোগীর চোখে ফ্লুর সমস্যা রয়েছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসকরা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, কনজাংটিভাইটিসের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। আগের তুলনায় অনেক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। এমতাবস্থায় এ রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সবার জানা প্রয়োজন। আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেই চোখের এই রোগটি কেন ছড়াচ্ছে এবং এটি প্রতিরোধের উপায়-
দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের এইচওডি অধ্যাপক ডাঃ এ কে গ্রোভার বলেছেন যে দিল্লিতে বন্যার পর থেকে কনজেক্টিভাইটিসের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত এই রোগটি ঘটছে। আগে যেখানে সপ্তাহে দু-একটি এ রোগ হতো, এখন প্রতিদিন আট থেকে ১০টি রোগী আসছে।
ফেলিক্স হাসপাতালের ডাঃ উজাইর জাকাই বলেন, বর্ষাকালে ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়ে। বাতাসে দূষণ, আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এ কারণে চোখের সমস্যা হয়। চোখের সঠিক যত্ন নিলে সমস্যা কমতে পারে। যারা চোখে কন্টাক্ট লেন্স পরেন তাদের বিশেষ করে এই সময়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ । চোখের ফ্লু গোলাপী চোখ এবং কনজেক্টিভাইটিস নামেও পরিচিত। চোখের ফ্লু বা কনজেক্টিভাইটিস হল চোখের সাদা অংশে সংক্রমণ।
দিল্লির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নরেন্দ্র কুমার বলেছেন যে লোকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে সংক্রামিত ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে চোখের ফ্লু ছড়ায়, তবে তা নয়। এই রোগটি তখনই ছড়ায় যখন কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহৃত কিছু ব্যবহার করা হয় এবং তারপর তা চোখ স্পর্শ করা হয়।
ডাঃ কুমার বলেন, কনজাংটিভাইটিস কোনো বিপজ্জনক রোগ নয়, বেশিরভাগ মানুষেরই এই রোগ পাঁচ থেকে সাত দিনে সেরে যায়। কিন্তু এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এই সমস্যাটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিৎ নয়। যদি কোনও ব্যক্তির চোখের ফ্লুর লক্ষণ দেখা যায় তবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
লক্ষণ:
লাল এবং গোলাপী চোখ হওয়া।
ঘন ঘন ময়লা চোখে থাকা।
নেত্রদাহ
ফোলা চোখ
কিছু ক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি হতে পারে
প্রতিরোধের উপায় :
কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধুয়ে নিন।
চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
ন্যাপকিন তোয়ালে ভাগ করবেন না।
নিজের চোখে কোনো ওষুধ দেবেন না।
আক্রান্ত রোগীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
নদী বা সুইমিং পুলে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
No comments:
Post a Comment