স্বাস্থ্য-এর যত্ন নিতে উপকারী এক চিমটি হিং
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৮আগস্ট: প্রতিটি ভারতীয় বাড়ির রান্নাঘরেই হিং পাওয়া যায়। এটি একটি ঐতিহ্যগত মসলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। টেম্পারিং থেকে শুরু করে ডাল, সবজি, তরকারি ইত্যাদি সব খাবার তৈরিতেই এই হিং ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু জায়গায় ক্যারি ও হিং দিয়ে তৈরি আচারও খাওয়া হয়। সাধারণত স্বাদ এবং ভালো রঙের জন্য সবজিতে অন্যান্য মশলা যোগ করা হয়।
মূলত খাবারে সুগন্ধ আনতে হিং যোগ করা হয়। এর গন্ধ স্বাদ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। কিন্তু এই হিং শুধু স্বাদ বাড়াতে কাজ করে না। এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। পেটের সমস্যার জন্য হিংকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া হিং-এর অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের সব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এখানে জেনে নিন এর এরকম অনেক উপকারিতা সম্পর্কে।
১.হিংয়ে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানগুলি BP নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এগুলো শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং রক্ত পাতলা করে সঞ্চালনে উন্নত করে। এমন অবস্থায় স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে এবং বিপি নিয়ন্ত্রিত হয়।
২.হজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা থাকলে নিয়মিত হিং খেতে হবে। এটি অনেক সুবিধা দেয়। এ ছাড়া এক চামচ জলে হিং গুলে পেটের চারপাশে লাগালে পেটের ব্যথা উপশম হয়।
৩.যদি আপনার খুব ঠান্ডা লাগে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, যার কারণে আপনি খুব দ্রুত মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে নিয়মিত হিং খান। এতে আপনি অনেক স্বস্তি বোধ করবেন।
৪.হিং-এর অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে, কাশি, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো বিভিন্ন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় হিং উপকারী। বুকের টান দূর করতেও হিং কাজ করে।
৫. হিং-এর প্রদাহ-বিরোধী গুণের পাশাপাশি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এমন অবস্থায় এটি দাঁতের ব্যথায় অনেকটা স্বস্তি দেয়। এ জন্য হিং জল দিয়ে গার্গলও করতে পারেন।
ব্যবহার পদ্ধতি:
এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় হিং জল পান করুন। এজন্য আধা গ্লাস হালকা গরম জলে ২ চিমটি হিং গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন হিং জল পান করলে সব সমস্যায় উপকার পাবেন।
No comments:
Post a Comment