জানুন কেন কনজেক্টিভাইটিসে সানগ্লাস পরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২৬আগস্ট: একটানা বৃষ্টির কারণে কনজাংটিভাইটিসের মতো মারাত্মক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। কনজেক্টিভাইটিসে চোখ সাধারণত লাল বা গোলাপী হয়ে যায়।আসলে এই রোগে চোখের পাতা ও চোখের সাদা অংশকে কনজাংটিভা বলে। এবং এর ওপরের ঝিল্লি ফুলে উঠতে শুরু করে। যার কারণে সংক্রমণ হয়। এই রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চোখ লাল হওয়া, ফোলাভাব, জল স্রাব, চোখে চুলকানি অনুভূত হওয়া। এলার্জি, জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যাও শুরু হতে পারে এই সংক্রমণে।
যখন একজন ব্যক্তি কনজেক্টিভাইটিস রোগে ভুগতে শুরু করেন, তখন উজ্জ্বল আলোতে চোখ ঠিকমতো খুলতে পারে না। ধুলো বা চোখের জ্বালা এড়াতে কনজেক্টিভাইটিসে আক্রান্ত হলে ডাক্তাররা চশমা পরারও পরামর্শ দেন।
গাঢ় চশমা পরে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখা বড় কথা নয়। কিছু লোক এটিও করে যাতে তাদের কারণে সংক্রমণ অন্য লোকেদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।
তবে এটা জেনে রাখা জরুরী যে কনজেক্টিভাইটিস আছে এমন কাউকে দেখলে ছড়ানো যাবে না। গাঢ় চশমা পরার কারণ হলো উজ্জ্বল আলো থেকে চোখকে কীভাবে রক্ষা করা যায়। এছাড়াও, চশমা পরা স্বাভাবিকভাবেই ধূলিকণা এবং কণা চোখের মধ্যে প্রবেশ এড়াতে সাহায্য করে। কালো চশমা চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য ভাল যাতে অবস্থা খারাপ না হয়।
কনজেক্টিভাইটিস ফোমাইটস ভাইরাস দ্বারা ছড়ায়, যাদের ইতিমধ্যে এই ভাইরাস আছে তাদের সংস্পর্শে এসে এই রোগটি ছড়ায়।
এই রোগ হলে বারবার চোখ ছোঁবেন না। এটি এড়াতে, প্রথম ওষুধটি অ্যান্টিবায়োটিক। এটি ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
এই রোগ বন্ধ করতে হলে পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বারবার হাত ধোয়ার মতো। যার হাতের ছোঁয়া থেকে এমনটা হয়েছে তার থেকে দূরে থাকুন।
No comments:
Post a Comment