বিশ্বের সর্বোচ্চ রেঞ্জের বন্দুক!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,২৯অগাস্ট : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, সেই সময়ে এমন অনেক অস্ত্র সামনে আসে যা বিশ্ব কখনও দেখেনি। এই অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি হল স্নিপেক্স অ্যালিগেটর রাইফেল। এটিকে বলা হয় বিশ্বে দীর্ঘতম পাল্লার রাইফেল । এর পাশাপাশি, এটি এতটাই শক্তিশালী যে এটি আকাশে উড়তে থাকা একটি বিমানকে মাটি থেকেই গুলি করে নামাতে পারে। এই রাইফেলের সাহায্যে ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার অনেক সাঁজোয়া যান, ট্যাঙ্ক এবং প্লেনও গ্রাউন্ডেড করেছে। তাহলে চলুন জেনে নেই স্নিপেক্স অ্যালিগেটর রাইফেল সম্পর্কে-
স্নিপেক্স অ্যালিগেটর অ্যান্টি-মেটেরিয়াল রাইফেল। এখানে অ্যান্টি-ম্যাটেরিয়াল মানে সরাসরি যেকোনও ধাতব লক্ষ্যবস্তুকে আক্রমণ করতে পারা যাবে। এটি ২০২০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এই বিপজ্জনক বন্দুকটি তৈরি করছে XADO হোল্ডিং লিমিটেড। সমগ্র বিশ্বে এটি শুধুমাত্র ইউক্রেন, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডে উৎপাদিত হয়। ২৫টি কেল্লার এই বন্দুকের দৈর্ঘ্য যেকোনও সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি। এই বন্দুকের শুধু ব্যারেল ৩.৯৩ ফুট লম্বা। ৭ কিলোমিটার দূর থেকে এই বন্দুক দিয়ে গুলি করতে পারবেন।
এই বিপজ্জনক স্নাইপার বন্দুকের রেঞ্জ যতটা মারাত্মক, তার থেকেও বেশি বিপজ্জনক হল এটি থেকে ছোড়া বুলেটের গতি। এই বন্দুক থেকে ছোড়া বুলেট প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। অর্থাৎ টার্গেট যদি দু কিলোমিটার দূরে থাকে, তাহলে ট্রিগার চাপার মাত্র দু সেকেন্ডের মধ্যেই শত্রু সেখানে মারা পড়বে। এই বন্দুকের একটি ম্যাগাজিনে পাঁচ রাউন্ড আছে। অর্থাৎ, একবার পেপার লোড করলে পাঁচটি টার্গেট করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা এই বন্দুকের বুলেটটি ৪.৪৮ ইঞ্চি লম্বা। অর্থাৎ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তা ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে। এটি এতই বিপজ্জনক যে এটি এমনকি লোহার যানবাহনকেও বিদ্ধ করতে পারবে।
No comments:
Post a Comment