পঞ্চনদীর মিলন স্থল
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক,০৮আগস্ট : যে কোনও দেশের স্থলভাগের স্নায়ুর কাজ করে নদী। এই নদী দিয়েই অনেক চাহিদা পূরণ হয়। অধিকাংশ মানব সভ্যতাও গড়ে উঠেছে এই নদীর তীরে। কথিত আছে যে নদী তার নিজের পথ তৈরি করে এবং তার পথে যা আসে তা নিয়ে যায়। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে দুই বা ততোধিক নদী এসে একে অপরের শোন মিলিত হয়েছে। যেমন; আমাদের দেশের ৩টি প্রধান নদী গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী প্রয়াগরাজে মিলিত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের একমাত্র জায়গা আছে যেখানে পাঁচটি নদী মিলিত হয়েছে। চলুন জেনে নেই কোথায় সেই জায়গা-
প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গম রয়েছে। প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজও বলা হয়, কারণ এটি ভক্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। তবে, এমন একটি জায়গা আছে যেখানে পাঁচটি নদীর মিলন হয়েছে। এই জায়গাটি পঞ্চনদ নামে পরিচিত, যা জালাউন এবং ইটাওয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এই জায়গাটি প্রকৃতির এক অনন্য উপহার, কারণ এই ধরনের সঙ্গম খুব কমই দেখা যায়।
পৃথিবীর এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে পাঁচটি নদীর সঙ্গম হয়েছে। যমুনা, চম্বল, সিন্ধু, কুনওয়ারি এবং পাহজ নদী পঞ্চনদে মিলিত হয়েছে। পঞ্চনদ মহা তীর্থরাজ নামেও পরিচিত এবং প্রতি বছর এখানে হাজারো ভক্তদের ভিড় হয়। সন্ধ্যার পর এখানকার দৃশ্য খুবই সুন্দর হয়ে ওঠে। এ ছাড়া একে নিয়ে অনেক বিখ্যাত গল্প আছে। কথিত আছে, মহাভারতকালে পাণ্ডবরা তাদের তীর্থযাত্রার সময় পঞ্চনদের কাছে অবস্থান করেছিলেন। ভীম এই স্থানে বকাসুরকে বধ করেন।
এ ছাড়াও এই স্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি বিখ্যাত গল্প। এখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন যে এখানে মহর্ষি মুচকুন্দের সাফল্যের গল্প শোনার পর একবার তুলসীদাস তাঁর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তুলসীদাস পঞ্চনদের দিকে হাঁটা শুরু করলেন এবং জল খাওয়ার জন্য আওয়াজ তুললেন। এতে মহর্ষি মুচকুন্দ তাঁর কমণ্ডল থেকে যে জল ছেড়েছিলেন তা কখনও শেষ হয়নি এবং তুলসীদাসকে ঋষি মুচকুন্দের গুরুত্ব স্বীকার করে তাঁর সামনে প্রণাম করতে হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment