গরুড় পুরাণ অনুসারে জানুন কীভাবে চিনবেন মিথ্যেবাদীদের
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,০৭আগস্ট : মোট ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এর শাসক হলেন স্বয়ং শ্রী হরি নারায়ণ। গরুড় পুরাণে, পাখিদের রাজা গরুড় এবং ভগবান বিষ্ণুর মধ্যে প্রশ্ন-উত্তর বর্ণিত হয়েছে।
এতে পাপ-পুণ্য, জীবন-মৃত্যু, স্বর্গ-নরক ও পুনর্জন্মের পাশাপাশি ধর্ম, জ্ঞান, নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদির কথাও বলা হয়েছে, যা অনুসরণ করে লোকে সুখী জীবনযাপন করে এবং পাপ কাজ থেকে দূরে থাকে। গরুড় পুরাণে এমনই কিছু লক্ষণের কথা বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই জানতে পারা যায় যে কোন ব্যক্তি মিথ্যা বলছে নাকি সত্য ।
প্রতারিত হওয়ার আসল কারণ হল, আমরা বুঝতে পারি না যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে মিথ্যা বলছে কীনা? এভাবে ঠক মানুষকে বিশ্বাস করে আমরা প্রতারিত হই। কিন্তু গরুড় পুরাণে উল্লিখিত এই লক্ষণগুলির সাহায্যে সহজেই একজন ব্যক্তির মিথ্যা ধরতে পারা যাবে-
গরুড় পুরাণে বলা আছে যে , শরীরের আকৃতি, নড়াচড়া, অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা, চোখ ও মুখের ভাব দেখে মানুষের মনে কী চলছে তা সহজেই বোঝা যায়।
চোখের ভাষা:
একজন মানুষ যখন আপনার সঙ্গে কথা বলেন, তখন তার চোখের দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখুন। যদি সে আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলে তবে সে তার দৃষ্টি এড়াতে চেষ্টা করবে, অন্যথায় তার চোখ এক জায়গায় স্থির থাকবে না। কথা বলার সময় সে ক্রমাগত তার চোখ এখানে এবং সেখানে সরাতে থাকবে।
শরীরের ভঙ্গিতে পরিবর্তন:
কিছু লোক কথোপকথনের সময় ক্রমাগত তাদের হাত ও পা নাড়াতে থাকে। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে মানুষ মিথ্যা বললে এমনটা করে। যদি একজন মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাসের পরিবর্তন দেখেন, তাহলে বুঝবেন সে আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলছে।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপে পরিবর্তন:
গরুড় পুরাণ অনুসারে, যখন কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলেন, তখন তার শারীরিক কার্যকলাপে পরিবর্তন আসে। কথা বলার সময় তিনি অনেকবার তোতলাবে বা তাড়াহুড়ো করে কথা শেষ করার চেষ্টা করবেন। এর সাথে, সে তার কাজগুলি খুব দ্রুত করতে শুরু করবে না হলে সে খুব অলস হয়ে যাবে। অর্থাৎ হঠাৎ করে কোনো ব্যক্তির শারীরিক নড়াচড়ায় পরিবর্তন দেখলে বুঝবেন সে মিথ্যা বলছে।
শারীরিক গঠন বা উচ্চতা:
বলা হয় যে একজন ব্যক্তির সমস্ত গোপনীয়তা লুকিয়ে থাকে তার দেহের ভাষায়। গরুড় পুরাণ অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি কথা শোনার ভান করে, কথার প্রতি সিরিয়াস না হয় বা মিথ্যা বলে, তবে এই সময়ে তার কাঁধ নত হয়ে যাবে। সে তার পা নাড়াতে শুরু করবে এবং তার হাতে হালকা কাঁপুনি হবে। কারণ সে তার মিথ্যাচারের জন্য ধরা পড়ার ভয় পায়।
মুখের ভঙ্গি:
বলা হয়ে থাকে যে মুখ হল একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের আয়না, যেখান থেকে একজন মানুষের সত্য বা মিথ্যা সহজেই সনাক্ত করা যায়।গরুড় পুরাণ অনুসারে, অনেক সময় মুখের ভাব দেখেই জানা যায়।সেই ব্যক্তি মিথ্যা বলছে।
ভঙ্গিতে পরিবর্তন:
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে, যখন কোনও ব্যক্তি আপনার কাছ থেকে কিছু লুকনোর চেষ্টা করে, তখন তার ভঙ্গি এবং কাজে পরিবর্তন আসে। এটি দেখে আপনি একজন মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কণ্ঠস্বরের ওঠানামা:
গরুড় পুরাণ অনুসারে, কোনও ব্যক্তি কিছু লুকিয়ে বা মিথ্যা বলার সময় কিছুটা নার্ভাস বা বিচলিত দেখাবে। এছাড়াও, তার কণ্ঠে অস্বাভাবিক ওঠানামা থাকবে। কখনো সে খুব ধীরে কথা বলবে, কখনো জোরে কথা বলা শুরু করবে আবার মাঝে মাঝে আটকে যাবে। কথা বলার সময় যদি কোনো ব্যক্তির মধ্যে এই চিহ্নটি দেখতে পান, তাহলে বুঝবেন সে আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলছে। তার মনে আর মুখে অন্য কিছু।
No comments:
Post a Comment