ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৮ আগস্ট: চীনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার খেলে দীর্ঘ জীবন পাওয়া যায়। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা ৩০-৭৯ বছর বয়সী পাঁচ লক্ষ চীনা নাগরিকের ওপর গবেষণা করেছেন। তারা দেখেছেন ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার শরীরের চর্বি কমাতে কাজ করে যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এই বিষয়ে অ্যালোপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নিন।
পিত্ত নিয়ন্ত্রিত হয় -
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে তাপ বাড়াতে এবং পিত্তের ভারসাম্য রাখতে খাবারে ঝাল ব্যবহার করা হয়। তবে এর পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তির দৈনন্দিন অভ্যাস এবং শারীরিক প্রকৃতির উপর। যারা প্রতিদিন ঝাল খান, তাদের তাড়াতাড়ি ক্ষতি হয় না। কিন্তু যারা নিয়মিত এটি খেতে অভ্যস্ত নন তাদের জন্য এটি পাকস্থলীর আলসার, ডায়রিয়া, পাইলস, লিভার ফেইলিওর এবং অন্ত্রের প্রদাহের মতো সমস্যা এনে দিতে পারে। এই ধরনের লোকেরা যদি ঝাল খাওয়ার সময় দই, বাটার মিল্ক, লেবু ও ঘি একসঙ্গে ব্যবহার করেন, তাহলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অনেকটাই কমে যায়।
সীমিত পরিমাণে খান -
অ্যালোপ্যাথিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝাল খেলে পেটের সমস্যা হয় বলে মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা। যারা এটি মাঝে মাঝে খান বা একেবারেই খান না, তাদের জন্য এর ব্যবহারে পেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরা সাধারণ খাবার খেতে অভ্যস্ত হয়ে যান ফলে ঝাল খেলে তাদের অ্যাসিডিটি বা পেট জ্বালা হয়।
খাবারে নিয়মিত কিছু ঝাল ব্যবহার করুন। এটি অন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায় এবং আলসারের ঝুঁকি কমায়। যাদের আগে থেকেই আলসার, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে তারা এই রোগের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি সাধারণভাবে খাবারে সামান্য ঝাল ব্যবহার করতে থাকুন। কারণ ওষুধের সঙ্গে ঝাল খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। এছাড়াও ঝাল খাওয়ার পরে দই, বাটারমিল্ক এবং জলের মতো বেশি তরল খাবার বা পানীয় ব্যবহার করুন। তবে পাইলস রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঝালের ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিৎ, কারণ এটি রোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment