সীমা ও অঞ্জুর পর এবারে যোধপুরের আইনজীবী! করাচির মহিলাকে অনলাইনে বিয়ে
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ আগস্ট: প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো না থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মানুষ একে অপরকে বিয়ে করে প্রায়দিনই শিরোনামে। প্রথমে সীমা, তারপর অঞ্জু এবং এখন যোধপুরের এক আইনজীবী করাচির এক মহিলাকে অনলাইনে বিয়ে করেছেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আরবাজ এবং আমিনার আর পাঁচটা সাধারণ বিয়ের মতো না হলেও, আয়োজন সবকিছুরই ছিল। কোন রকম হৈচৈ ও কোলাহল ছাড়াই কাজী তাদের অনলাইনে বিয়ে করিয়ে দেন এবং যোধপুর ও করাচি উভয় শহরেই বড় বড় এলইডি স্ক্রিনে তা দেখানো হয়।
গত সপ্তাহে ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত এই নিকাহ সম্পর্কে বরের বাবা মোহাম্মদ আফজাল বলেন, “আমরা পাকিস্তানে আমাদের আত্মীয়দের মাধ্যমে আগেই রোকা করেছিলাম এবং আমিনার ভিসার অপেক্ষায় ছিলাম। তারপরে ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছিল, তাই আমরা তাদের দুজনকে অনলাইনে বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
আফজাল বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও আন্তঃসীমান্ত বিবাহ সম্পর্ককে খুব বেশি প্রভাবিত করেনি। এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশেই মানুষের আত্মীয়-স্বজন থাকে। তিনি বলেন, 'এখন আমরা আমিনার ভিসার জন্য অপেক্ষা করব।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'ভিসা পাওয়া সহজ হওয়া উচিৎ, কারণ দুজনেই বিবাহিত।'
এই বছরের শুরুতে যোধপুরের মুজাম্মিল খান অনলাইন মাধ্যমে পাকিস্তানের উরুজ ফাতিমাকে বিয়ে করেন। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা সীমা হায়দার (৩০) গ্রেটার নয়ডার রবুপুরা এলাকায় বসবাসকারী তার ভারতীয় প্রেমিক শচীন মীনার (২২) সঙ্গে থাকার জন্য ১৩ মে নেপাল হয়ে একটি বাসে তার চার সন্তান সহ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন।
এরপর রাজস্থানের বাসিন্দা অঞ্জু পাকিস্তানে গিয়ে প্রেমিক নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে অনেক তোলপাড় হয়েছে কারণ অঞ্জু বিবাহিত ছিলেন এবং তিনি তার ধর্মও পরিবর্তন করেছে।
No comments:
Post a Comment