ফিতে কাটলেন এক মন্ত্রী, আমন্ত্রণই পেলেন না অপরজন! প্রকাশ্যে শাসকের কোন্দল
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ২১ আগস্ট: বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে ব্রাত্য রেখেই অপর মন্ত্রীকে দিয়ে অনুষ্ঠানে ফিতে কাটানোকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শাসক দলের কোন্দল। ঘটনা হাওড়ার।
হাওড়া শহরে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর কোন্দল। শিবপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রীর মধ্যে এর আগেও একাধিক দ্বন্দ্বের ছবি উঠে এসেছে। একইসঙ্গে তৃণমূলের আদি বনাম নতুনের লড়াই বারবার সামনে এসেছে, যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও হয়েছে। আর এই গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তিতেও পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এরই মধ্যে ফের গতকাল রবিবার মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা সমবায় দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় ও শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল।
তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রের খবর, রবিবার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাওড়া পুরনিগমের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধারসা মনসাতলা এলাকায় একটি রক্তদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায় ও বিধায়ক দেবাশীষ কুমার। যদিও সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি শিবপুরেরই শাসক দলের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
রবিবার সন্ধ্যায় এই প্রসঙ্গে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিওর মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, '৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে যে রক্তদানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তার অনুমতি দল দেয় না। অতীতে কি হয়েছে তা তিনি দেখবেন না, শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এই ধরণের যদি কোনও অনুষ্ঠান হয়ে থাকে বা আগামীদিনে হয়, যেখানে তার নাম অথবা তার অনুগামীদের নাম আমন্ত্রণপত্রে না থাকে তাহলে তার প্রতিবাদ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে দলীয় কর্মীদের।
এমনকি সেই পরিস্থিতিতে যদি কোনও সমস্যা হয় অথবা দলে ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তাহলে পুরো বিষয়টি দেখে নেবেন বলে জানান মন্ত্রী। আর যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
যদিও এই প্রসঙ্গে মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তবে, দুই মন্ত্রীর কোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, 'এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও এই ধরণের কোন্দল আমরা দেখেছি। দলের এক মন্ত্রী অপর এক মন্ত্রীকে সহ্য করতে না পেরে নিজের দলের কর্মীদের অনুমতি দিচ্ছে দলের ভিতরে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করতে। তৃণমূল একটা বিশৃঙ্খলদের দল, মানুষ কষ্টে আছে সেই দিকে এদের কোনও মাথাব্যথা নেই।'
No comments:
Post a Comment