ভিতর থেকে শরীর ডিটক্সিফাই করে এলাচের খোসা
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১২ আগস্ট: এলাচ খেতে সবার ভালো লাগে। এটি এমন একটি জিনিস যে খাওয়ার পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই মুড ফ্রেশ হয়ে যায়। তবে আমরা সাধারণতঃ এলাচের দানা খাই আর এর খোসা ফেলে দেই। কিন্তু আজ আমরা আপনাদের বলবো এলাচের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। এলাচের খোসা হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বাড়ায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও এলাচের খোসা শরীরকে ভিতর থেকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সহায়ক। এভাবেই এলাচের খোসা নানাভাবে শরীরের জন্য উপকারী।
পেটের জন্য উপকারী -
এলাচের খোসার গুঁড়ো মুখের লালার পরিমাণ বাড়ায়, যা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এ ছাড়া এলাচের খোসা পেট পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে শোবার সময় এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
অ্যাসিডিটি কমায় -
এলাচের খোসা অ্যাসিডিটির প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এর সাথে কালো লবণ এবং চিনির মিশ্রি মেশাতে হবে। উভয়ই মৌলিক প্রকৃতির এবং পেটে উৎপন্ন অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে ও এটি শান্ত করে। এছাড়া ধনে বীজ, জয়ত্রী, হিং এবং জোয়ানের সাথে মিশিয়ে গুঁড়ো করে খেলে এগুলি একসঙ্গে অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
বমি-বমি ভাব প্রতিরোধ করে -
বমি-বমি ভাব অনুভব করলে এলাচের খোসা দারুণভাবে কাজ করে। এটি একটি মুড ফ্রেশনার হিসাবেও কাজ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে মুড পরিবর্তন করে। বদহজমের কারণে বমি-বমি ভাবের ক্ষেত্রে এর গুঁড়ো খুবই উপকারী। এলাচের গুঁড়োর সাথে জয়ত্রী গুঁড়ো ও মিশ্রি মিশিয়ে খেতে হবে ।
এলাচের খোসার জলও পান করতে পারেন। এর জন্য এলাচের খোসা জলে রেখে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিন। তারপর ঠাণ্ডা হতে দিন এবং এই জলে মধু মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পাচনতন্ত্র থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত অনেক কাজেই এই এলাচের জল সহায়ক। সুতরাং, আপনি যদি কোনও কিছুতে এলাচ ব্যবহার করেন এবং এর খোসা ফেলে দেন, তাহলে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং এইভাবে এলাচের খোসা ব্যবহার করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment