দুধ-খেজুর খান, সুস্থ থাকুন
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ২৩ আগস্ট: আমরা সবাই জানি যে খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। খেজুর সাধারণত এমনিই খাওয়া হয়। কিন্তু এটি দুধে মিশিয়ে খাওয়া আরও বেশি উপকারী। দুধ সহ অন্যান্য উপায়ে এটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি দুধের সাথে মিশে আরও শক্তিশালী হয় এবং অনেক সুবিধা দেয়। আসুন আমরা জেনে নেই দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেলে কী কী উপকার হয়।
হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে -
খেজুরে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়, যা মানুষের হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে। হজমের সমস্যা থাকলে দুধ ও খেজুর মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। আপনি শীঘ্রই পার্থক্য দেখতে পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে -
অনেক মানুষেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। আপনি যদি এটিকে প্রতিদিন দুধে মিশিয়ে খান তবে অবশ্যই পেট ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে -
খেজুরের ক্যান্সার নিরাময় করার ক্ষমতাও রয়েছে। এটি ফাইবার বহন করে যা কোলন পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। দুধের সাথে খেজুর খেলে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
হাড় মজবুত করে -
খেজুরে অনেক ধরনের উপাদান পাওয়া যায়। এতে কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এগুলো মানবদেহের হাড়কে উন্নত ও শক্তিশালী করে।
দাঁতের ক্ষয় থেকে সুরক্ষা দেয় -
এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের মতো দাঁতের জন্যও খুবই উপকারী। খেজুরে পাওয়া ফ্লোরাইডের প্রসারণ দাঁতের ক্ষয় রোধ করে এবং শক্তিশালী করে ।
ওজন বৃদ্ধিতে উপকারী -
আপনি যদি মোটা হতে চান এবং ওজন অনেক কিছু খাওয়ার মাধ্যমেও বাড়াতে না পারেন, তাহলে আপনার অবশ্যই দুধ-খেজুর খাওয়া উচিৎ। এটি শর্করা, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ এবং প্রোটিনে ভরপুর। এগুলো মানুষের ওজন বাড়াতে উপকারী। খেজুর দুধে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে কয়েকদিনের মধ্যেই এর প্রভাব দেখতে পাবেন।
করোনারি হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় -
খেজুরে পটাসিয়াম পাওয়া যায় যা কোলেস্টেরল কমায়। কোলেস্টেরল করোনারি হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। কোলেস্টেরল না থাকলে করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment