১২৬টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত! গ্যাস পাইপলাইনে ফাটল, ভূমিকম্পে বিশৃঙ্খলা চীনে
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ আগস্ট : শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চীনের শানডং প্রদেশ। কম্পনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধাক্কাটা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ভবনগুলো ঝরনার মতো কাঁপতে শুরু করে। ছুটে যাওয়া লোকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহতও হয়েছেন অনেকে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ধরা হয়েছে ৫.৫। রবিবার সকালে মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল তখন এ ভূমিকম্প হয়। সবাই গভীর ঘুমে ছিল। সকাল হলেই জানা গেল ধ্বংসলীলা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেঝুতে। কেন্দ্রের গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। ১২৬টি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ২১ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল রাজধানী বেইজিং থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। চীনা ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্রগুলো বলছে, কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৫, তবে আমেরিকান ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৫.৪ বলে জানিয়েছে। রাতের আঁধারের কিছু ছবি চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে লোকজনকে দৌড়াতে দেখা যায়। ভবন, সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ায় ধ্বংসাবশেষ সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। অন্ধকারে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসা লোকজন এসব ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে আহত হয়। উদ্ধারকাজের জন্য শহরে দমকল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রেলপথ পরিদর্শন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়কপথও। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে। আমেরিকান জিওলজিক্যাল সার্ভে বলছে, এই কেন্দ্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি গভীর ছিল না। এমতাবস্থায় আরও ধ্বংসযজ্ঞ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিপদের কারণে গ্যাস সরবরাহও বন্ধ রয়েছে। পাইপলাইন পরিদর্শনের জন্য দল মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক এলাকায় পাইপলাইনের ক্ষতি হয়েছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লী ও আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দিল্লী-এনসিআর থেকে চণ্ডীগড়-পাঞ্জাব পর্যন্ত মানুষ ধাক্কা অনুভব করেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশে। তীব্রতা ৫.৮ এ পরিমাপ করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। শনিবার সকালেও জম্মু ও কাশ্মীরে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। জুন থেকে এখন পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে ছোট-বড় ১২টি কম্পন অনুভূত হয়েছে। জুন মাসে ডোডাতেও বেশ কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ১৩ জুন, একটি ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল যাতে কয়েক ডজন বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আফগানিস্তানে প্রতিদিনই ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তুরকিয়ের ভূমিকম্পে ৫৯০০০ এরও বেশি লোক মারা গেছে।
No comments:
Post a Comment