চীন নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা কংগ্রেস সাংসদের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ আগস্ট: নিজের কর্মকাণ্ড থেকে পিছু হটছে না চীন। উস্কানিমূলক কাজ করতে গিয়ে চীন আবারও একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে, যাতে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চিনকে তাদের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। আগামী মাসে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লীতে আসছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। তার আগেই এই মানচিত্র প্রকাশ ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি। কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি এই মানচিত্রটিকে অযৌক্তিক বলেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি খোঁচাও দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময় মনীশ তিওয়ারি বলেন, "চীনের দাবী অযৌক্তিক এবং চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের ইতিহাস দ্বারা এর অসারতা প্রমাণিত হয়েছে। আজকের আসল বিষয় হল চীন থিয়েটার পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে LAC লঙ্ঘন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, সরকারকে গুরুত্ব সহকারে আত্মবিশ্লেষণ করা উচিৎ যে, এমন একজন ব্যক্তি শি জিনপিংকে দিল্লীতে ডাকা ভারতের আত্মসম্মান অনুসারে হবে কিনা, যিনি এলএসি সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গকিলোমিটার অবৈধভাবে দখল করেছেন।"
চীনের নতুন মানচিত্র নিয়ে মনীশ তিওয়ারি বলেন, ভারত-চীন সীমান্তের তিনটি সেক্টর রয়েছে। একটি হল পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টর, যেখানে ম্যাকমোহন লাইনটি ১৯৪০ সাল থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমানা হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে, যখন ভারত, চীন এবং তিব্বতের প্রতিনিধিরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। মাঝারি খাতের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু বিষয় ছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।'
'আসল সমস্যা পশ্চিমাঞ্চলের সেক্টরে, যেখানে সীমানা সঠিকভাবে চিত্রিত করা হয়নি। ১৮৬৫ সালে, ব্রিটিশ সরকার প্রথমবারের মতো এই অঞ্চলটি চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল। তারা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য এবং তিব্বতের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি জরিপ পরিচালনা করেছিলেন। জনসন-আরডেগ লাইন নামে একটি সীমানা প্রস্তাব করা হয়েছিল।'
'এরপর ১৮৭৩ সালে ফরেন অফিস লাইন এবং ১৮৯৯ সালে ম্যাকডোনাল্ড লাইন তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার এই তিনটি লাইন চীনে পাঠালেও চীন তা গ্রহণ করেনি বা অস্বীকারও করেনি। এই ইস্যুটিই আগে গিয়ে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের আকারে সামনে আসে।'
No comments:
Post a Comment