গদর-২-এর নাম শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন যুবক! প্রশংসাকারীকে মারধর, প্রাণে মারার হুমকি
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ আগস্ট: গদর-২ ছবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। গদর-২ দেখে ফিরে আসা এক ব্যক্তি তার পরিবারের সদস্যদের ছবির গল্প ও চরিত্র সম্পর্কে বলছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পাশ দিয়ে যাওয়া অন্য সম্প্রদায়ের এক যুবক 'গদর-২' ছবির নাম শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযুক্ত তার ভাইকে ডেকে ছবিটির দর্শকের সঙ্গে মারামারি করেন এবং তাকে খুনের হুমকি দেয়।
জেলার মুসাঝাগ থানায় দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, মানিকাপুর কৌরের বাসিন্দা অভিযোগকারী অমিত গুপ্ত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তাঁর বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গদর-২ ফিল্ম সম্পর্কে কথা বলছিলেন। সেইসময় হঠাৎ পাশ দিয়ে যাওয়া তৌফিক তার কথা শুনে রেগে গিয়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় তৌফিক তার বাড়িতে গিয়ে ভাই ইউসুফকে ডেকে আনে এবং দুই ভাই মিলে অমিত গুপ্তকে মারধর করে। প্রাণে মারার হুমকিও দিতে থাকে। এ সময় এলাকার লোকজন উদ্ধার করতে এলে তাদের দেখে অভিযুক্ত দুজনই পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে, পাকিস্তানের স্বাধীনতা উদযাপনের একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।
লখনউয়ের বিকেটি থানা এলাকার ইন্দোরবাদ গ্রামে বসবাসকারী জুবায়ের একটি সরকারি কোটের দোকান চালান। তার মোবাইল থেকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়, যা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয়ে যায়। বিতর্কিত ভিডিওটি দেখে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত জুবায়েরকে গ্ৰেফতার করে এবং মোবাইলটি হেফাজতে নেয়। এরপর পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠায়।
ইন্দোরবাগ গ্রামের বাসিন্দা দারোগা সিংয়ের মতে, 'আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য পেয়েছি যে জুবায়ের তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে পাকিস্তানের স্বাধীনতার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভারতে বসবাস করে সরকারী কোটার দোকান চালিয়ে এভাবে স্ট্যাটাস দেওয়া ভুল। এ ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
বিকেটি এসিপি ধর্মেন্দ্র রঘুবংশীর মতে, পুরো ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় পুলিশ জুবায়েরকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহ করছে যে এই মেসেজ কোথা থেকে এল।
No comments:
Post a Comment