জোড়া মৃত্যু! ঘরেই উদ্ধার মা-মেয়ের নিথর দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ২১ আগস্ট: মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়া টিকিয়াপাড়ায়। কি কারণে এই জোড়া মৃত্যু তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। টিকিয়াপাড়া এলাকার বশিরউদ্দিন মুন্সী লেনে তিনতলার ফ্লাটে থাকেন বছর পঞ্চান্নর আয়েশা খাতুন। সোমবার দুপুরে সেই ফ্লাট থেকে উদ্ধার হয় তার এবং মেয়ে শারজাহা খাতুনের(৩৫) দেহ। মায়ের নিথর দেহ পড়েছিল বিছানায় এবং মেয়ের দেহ পড়েছিল ঘরের মেঝেতে।
এদিন দুপুরে আয়েশার বড় মেয়ে ফ্ল্যাটে এসে দেখেন মা ও বোন দুজনেই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর কান্না ও চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারা খবর দেয় হাওড়া থানায়। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আয়েশা খাতুন নামে ওই মহিলার স্বামী রেলের অস্থায়ী কর্মী। তিনি কিছুদিন আগে তাকে ডিভোর্স দেয়। এরপর থেকে ওই মহিলা একাই থাকতেন। তিন দিন আগে মহিলার চার মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে শারজাহা খাতুন আসেন। তিনি মায়ের সঙ্গেই থাকছিলেন। গতকাল (রবিবার) রাতে ওই মহিলাকে শেষবার বাজার করে বাড়ি ফিরতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তারপর আর তার কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। আজ অন্য এক মেয়ে মায়ের খোঁজ করতে ফ্ল্যাটে এসে দেখেন দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশীর আরও জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে ওই মহিলার ছেলে এবং ছেলে বউ একই ফ্ল্যাটে মারা যান। তবে আজকের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ফ্লাটে ইঁদুরের উৎপাত ছিল। তাই ওই মহিলা বিহারের তার দেশের বাড়ি থেকে ইঁদুর এবং পোকামাকড় মারার ওষুধ এনেছিলেন। সেই ওষুধ খাবারের চারপাশে ছড়ানোর ফলে কোনও ভাবে বিষক্রিয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এই বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হয় মা এবং মেয়ের।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহগুলি ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ মৃতার পরিবারের লোকজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
No comments:
Post a Comment