ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করল দুই শত্রু দেশ!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ আগস্ট : দুই ইসলামিক দেশ যারা একসময় পরিচিত ছিল শত্রু, তাদের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই দুটি দেশ ইরান ও ইরাক। ইরান জানিয়েছে যে, "আমরা কুর্দি বিদ্রোহীদের নিরস্ত্রীকরণ ও পুনর্বাসনের জন্য ইরাকের সাথে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছি।" ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন যে, " সরকার ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নিরস্ত্র করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
নাসের কানানি বলেছেন যে, "ইরাক আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা পরিচালিত ঘাঁটি বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।" কানানি জানিয়েছেন, এখন এর সদস্যদের অন্য ক্যাম্পে পাঠানো হবে। তবে ক্যাম্পের স্থান সম্পর্কে তিনি কোনও তথ্য দেননি। কানানি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ১৯ সেপ্টেম্বরের পরে কোনও সময়সীমা বাড়ানো হবে না।
ইরান কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইরান দীর্ঘদিন ধরে কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। কিছু গোষ্ঠী ইরাকের সীমান্তবর্তী ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান প্রদেশকে আলাদা করার আহ্বান জানিয়েছে। কুর্দি জনগোষ্ঠী পশ্চিম ইরান, উত্তর ইরাক, উত্তর-পূর্ব সিরিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলে বাস করে। কেউ কেউ কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
গত বছর ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল
২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দ মাহসা আমিনি গত বছর পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছিলেন। এর পর ইরান জুড়ে বিক্ষোভ হয়। এদিকে, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (IRGC) উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মারাত্মক বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইরান এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য এবং দাঙ্গার ইন্ধন জোগাতে দেশে অস্ত্র ও মানুষ পাচারের অভিযোগ এনেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ইরাককে চাপ দিচ্ছে ইরান। নাসির কানানি বলেন, "আমরা আশা করি ইরাকি সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও প্রতিবেশী সম্পর্কের ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্কের পরিবেশ থেকে এই কালো দাগ মুছে যাবে।"
No comments:
Post a Comment