নদী ভাঙনে চরম সমস্যা! আশঙ্কার প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৯ আগস্ট: নদী ভাঙনে চরম দুর্ভোগে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা দুই নং- গ্রাম পঞ্চায়েতের কালারখাস এলাকার বাসিন্দারা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বুক চিরে বেরিয়ে গিয়েছে গিলান্ডি নদী, যা অত্যন্ত খরস্রোতা। এই নদীর দুপাড়ে বসবাসকারী মানুষের যন্ত্রণার শেষ নেই।
কথায় আছে, 'নদীর পাড়ে বাস সমস্যা বারোমাস'। ইতিমধ্যেই বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে গোটা গ্রাম নদী বক্ষে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসী। এখন এক বুক হতাশা ও প্রশাসনের আশ্বাস নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন কালারখাসের বাসিন্দারা।
ঝাড় আলতা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত একেবারে বিরোধী শূন্য একটি পঞ্চায়েত। শাসক দলের নেতারা দাবী করেন, উন্নয়নের নিরিখে গ্রামবাসী এই গ্রামকে তৃণমূলের কাছে উপহার দিয়েছে। অভিযোগ, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেই ১৫/৮৩ পার্টের মধ্য খট্টিমারি কালারখাস এলাকায় ৪৪২ জন ভোটার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকেই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী করলেও পূরণ করেনি তাদের দাবী, শোনেনি তাদের সমস্যা। প্রত্যেক বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিডিও, বিধায়ক থেকে ইরেগেশন আধিকারিক প্রত্যেকেই আসেন, ছবি করেন, আশ্বাস দেন, ব্যাস! তারপর কেটে যায় সময়ের পর সময়।
দীর্ঘ ৪০ বছরের সমস্যা, যদিও বামফ্রন্ট আমলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মাত্র ৩০০ মিটারের এমটিএন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়েছিল। তারপর থেকে আজও হয়নি কোনও কাজ। কার্যত গোটা গ্রামের মানুষের কৃষি থেকে বসত বাড়ি সবই যাচ্ছে বিলীন হয়ে নদীগর্ভে। নদীর তলায় জমি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এই ধূপগুড়ি বিধানসভাতেই আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর আবারও হতে চলেছে ভোট। তবে এই এলাকার মানুষের সমস্যা যে উপনির্বাচনে কোনওভাবে কোনওরূপ খেসারত দেবে না, তা কিন্তু এলাকার রাজনৈতীক নেতৃত্বের বয়ানে পরিষ্কার। এখন দেখার এই সময়ে এই অসহায় কৃষিজীবী মানুষের পাশে আদৌও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কি না!
গোটা ঘটনায় সদ্য নির্বাচিত স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সোনাবালা রায়ের দাবী, মানুষের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে আর্থিক দিক দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দারা সম্ভব না। আসন্ন উপনির্বাচনে বিধায়ক পদে জয়লাভ করেই এই সমস্যার সমাধান করবেন বিধায়ক তহবিল থেকে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নেতাদেরও দাবী, ক্ষমতায় এলে সমস্যার সমাধান হবে।
No comments:
Post a Comment