যাদবপুরকে ঠাণ্ডা করার হুঁশিয়ারি দিলীপের
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২১ আগস্ট: "কাশ্মীর ঠাণ্ডা করে দিয়েছি, আর কোথায় যাদবপুর! আজ হোক বা কাল ঠাণ্ডা হয়ে যাবে," এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাকিনাড়ায় একটি জনসভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, "যেখানে যেখানে সন্ত্রাসবাদী, সমাজবিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, বুট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়েছি। জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে দেখে আসুন। ওখানে প্রকাশ্যে আজাদী বলে স্লোগান দেওয়া হতো, সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ওখানে লেলিন নেই, স্ট্যালিন নেই। ওখানে বিবেকানন্দের মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এখানে যাদবপুর, যেখানে যেদিন নপুংসক সরকার বিদায় নেবে সেদিন যাদবপুরে বিবেকানন্দের মূর্তি বসাব এবং ভারত মাতা কি জয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান দেব।" রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের হিজরার দল বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
পরে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিলাম কারণ ওখানে ওটাই একমাত্র রাস্তা ছিল। কিন্তু এখানে (পশ্চিমবঙ্গ) কোনও আইন নেই। এখানে এরকমই হবে। 'যাদবপুরেও কি এরকম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে?' সেই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ জানান "দেখা যাবে, ভবিষ্যতে কি হবে।"
রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাকিনাড়ায় একটি জনসভা থেকে যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "তৃণমূলের সাংসদরা ঝুড়ি, কলসি নিয়ে নাচানাচি করে কিন্তু যাদবপুরে ঢুকছেন না কেন? ওটা কি পাকিস্তান হয়ে গেছে, নাকি আফগানিস্তান হয়ে গেছে যে, ঢোকা যাবে না। পুলিশ কি জন্য আছে খালি ঘুষ তোলার জন্য? পুলিশ লেজ গুটিয়ে বসে আছে।" তার প্রশ্ন "এই বিশ্ববিদ্যালয় কি চলা উচিৎ?"
দিলীপের অভিযোগ, যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়- উভয়েরই মান কমেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি এরকম পরিবেশ হয়, খুন খারাবি হয়, মদের আসর বসে, তবে কি ভালো ছেলে-মেয়েরা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে? বাংলার যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা গর্ব করতাম তাকে গোড়ার থেকে কেটে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। সমস্ত হোস্টেল গুলো দুর্নীতির আঁকড়া হয়ে গেছে।'
৩৭০ প্রত্যাহার নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ খুশি নয়- কংগ্রেস সংসদ রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন 'আমি তো শুনেছি উনি ফুটবল খেলতে গিয়েছিলেন। উনি কাশ্মীরে কার সাথে দেখা করলেন? কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার কারণে তার সেখানে যাওয়ার হিম্মত হয়েছে। সেই জন্য সেখানে বেড়াতে গেছেন। তিনি নিঃসন্দে নিশ্চিন্তে বেড়াতে পারছেন। আমিও দু'বার গিয়েছি, দেখেছি সেখানকার মানুষ যথেষ্ট খুশি ও আরামে আছেন।
তিনি আরো বলেন "এরাজ্যে যে সরকার আছে কদিন চলবে কেউ জানেনা, কেন চলছে কেউ জানে না। খালি খালি পয়সা ঝাড়ার জন্য সরকার চলছে। আর যখন এরকম ঘটনা ঘটবে চুপ করে বাড়িতে বসে থাকবে। আর কমিউনিস্টরা, যারা দুনিয়া থেকে মুছে গেছে তারাও দেশভাগের সময় থেকে শত্রুতা করেছে, বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে।"
No comments:
Post a Comment