অমানবিক! পোষ্য সারমেয়কে ধারালো অস্ত্রের কোপ
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ আগস্ট: পোষ্য সারমেয়কে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার অন্তর্গত শিবপুর বল্লভপুর এলাকায়। এমন অমানবিকতার দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সারমেটিকে তাঁর মালিক নিয়ে আসে বনগাঁ থানায় এবং পরবর্তীতে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের হয় তারপরেই সারমেয়টির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন বনগাঁর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'বনগাঁ স্ট্রিট ডগস'। ওই জখম সারমেয়র শরীরে চারটি সেলাই পড়েছেন, বর্তমানে সারমেয়টি সুস্থ আছে।
এ বিষয়ে ওই পোষ্য সারমেয়র মালিক সুব্রত মল্লিক বলেন, "আমি বিগত এক বছর ধরে ওকে বাড়িতে লালনপালন করছি। প্রতিদিনের মতো আজ রাতের বেলা খাবার পরে ওকে আমি বাইরে ছেড়ে দিই এবং ও কিছুক্ষণ বাইরে ঘুরে এসে আবার ঘরে ঢুকে যায়। আজ রাতের বেলা আমি যখন ওকে ছাড়ি, তার খানিকক্ষণ পরেই ও ছুটে আমার বাড়ি চলে আসে। দেখতে পাই ওর পিঠের মধ্যে একটা কাঁচ ঢোকানো রয়েছে এবং অঝোরে রক্ত বেরোচ্ছে। আমি তৎক্ষণাৎ দেরি না করে খোঁজ নিতে শুরু করি কে ঘটনাটি ঘটাল। জানতে পারি আমার প্রতিবেশী অশোক সরকার এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। আমি তারপরেই বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হই এবং বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করি।"
তিনি বলেন, 'এর পরেই বনগাঁ স্ট্রিট ডগ নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাদারা আমাদের দেখে ছুটে আসেন এবং আমার সারমোটির সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে নেয়। বর্তমানে আমার পোষ্যটি সুস্থ আছে।'
এছাড়াও ফুলন মল্লিক ওই পোষ্যটির মালকিন বলেন, 'এদিন রাতে এই জঘন্য ঘটনাটি যে ঘটিয়েছে, তার শাস্তির দাবী করছি এবং আগামী দিনে যাতে এরকম ঘটনা কেউ না ঘটাতে পারে তার দাবী জানাচ্ছি।'
এই বিষয়ে বনগাঁ স্ট্রিট ডগস'- এর সদস্য তন্ময় দাস বলেন, "আমরা আজ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বনগাঁ থানার মোড় থেকে আমাদেরই এক সদস্য মারফত খবর পাই একটি সারমেয়কে কোনও রকম ভাবে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছে এবং ওই পোষ্যকে নিয়ে তার মালিক বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হয় এবং পরবর্তীকালে আমরা ওই স্থানে পৌঁছে পোষ্যটির মালিকের সাথে কথা বলে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এই চিকিৎসাটুকু না পেলে হয়তো পোষ্যটির প্রাণ হানির ভয় ছিল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি এবং আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় যে যুক্ত আছে, তার উপযুক্ত শাস্তি হয়।"
No comments:
Post a Comment