স্কুলের ছাদে ড্রাগন চাষ, ফল আসতেই মুখে হাসি ক্ষুদে পড়ুয়াদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২২ আগস্ট: স্কুলের ছাদে ড্রাগন ফল চাষ করে সেই ফল খাচ্ছে স্কুলের ক্ষুদেরাই। নিজেদের হাতে চাষ করে ফসল ফলানোর অনুভূতি পেয়ে খুশি প্রত্যেকেই। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফাঁকা সময়ে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছে তারা। পড়ুয়াদের সাহায্য করছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। ড্রাগন চাষের পদ্ধতি থেকে পযিচর্যা- সমস্ত কিছু শিক্ষক- শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের শেখাচ্ছেন। এতে করে একদিকে ক্ষুদে স্কুল পড়ুয়ারা ড্রাগন চাষের পদ্ধতি শিখতে পারছে, তেমন পাশাপাশি তারা বাড়িতে গিয়েও এই চাষ করতে পারবে। মালদহের শোভনগর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়েছে।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর গ্রামে রয়েছে শোভানগর হাই স্কুল। এই স্কুলের পরিবেশ আর পাঁচটা স্কুলের থেকে একটু ভিন্ন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য সহ ও পার্শ্ব শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্কুল ক্যাম্পাস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এবার স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়াদের ফল চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে নজির সৃষ্টি করল এই স্কুল।
পড়ুয়াদের হাতে বেশকিছু ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল স্কুল ভবনের ছাদে। নিয়মিত সেই ড্রাগন চারাগুলির পরিচর্যা করে এসেছে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় বছর ধরে গাছের পরিচর্যা করার পর এই মরশুমে ফল এসেছে গাছে। ফল আসতেই ব্যাপক উদ্দীপনা পড়ুয়াদের মধ্যে। ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করে সেই ফল খেতে পেয়ে প্রত্যেকের খুশি।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেরও। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়াতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। স্কুলের পড়ুয়ারা এই ড্রাগন বাগান তৈরি করলে আশেপাশের বাসিন্দারাও তা জানতে পারবেন। এমনকি পড়ুয়ারা গাছের চারা লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যা সমস্ত কিছু শিখে পরিবারের লোকেদেরও শেখাতে পারবে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই স্কুলের এমন উদ্যোগ, যা ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে। দেড় বছরের মধ্যে ড্রাগন ফল আসায় একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা খুশি, পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এই ফলের চাষ নিয়ে।
No comments:
Post a Comment