শুঁড়ে জড়ানো ব্লেড-কাঁটাতার! উদ্ধার দাঁতালের নিথর দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার, ২২ আগস্ট: একটি পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সীমান্ত কালচিনি ব্লকের সাতালি মণ্ডল পাড়ায়। ওই এলাকার একটি ধান ক্ষেতে পড়ে থাকা নিথর হাতিটির শুঁড় থেকে ব্লেড কাঁটাতার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা।
এদিন স্থানীয়রাই প্রথম মৃত হাতিটিকে দেখতে পায়। এরপরে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন জলদাপাড়া ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বন বিভাগের দল ছুটে আসে। হাতির দেহ দেখতে ভিড় উপচে পড়ে ঘটনাস্থলে।
প্রাথমিক তদন্তে বনকর্মীদের ধারণা ফসল বাঁচাতে তড়িদাহত করে হাতিটিকে পরিকল্পনা করে মারা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। ঘটনাস্থলে পদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
হাতি মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জলদাপাড়া ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্তারা। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, ইচ্ছাকৃত ভাবেই হাতিটিকে তড়িদাহত করে মারা হয়েছে তবে দোষীদের বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করবে বন দফতর। তবে, হাতিটির দেহের ময়নাতদন্তের আগেই তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সরাসরি ভাবে মন্তব্য করতে চাননি বন-কর্তারা।
জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতি রাতেই ফসলের ক্ষেতে হাতির হানায় জেরবার হচ্ছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। ইতিপূর্বেও ওই একই কায়দায় আলিপুরদুয়ার জেলার অরণ্য লাগোয়া বনবস্তিগুলিতে বুনো হাতিদের মারার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার পরেই বন দফতরের দপ্তরের তরফ থেকে বন্যপ্রাণ আইন অনুসারে হাতিদের প্রাণে মারার বিষয়টি আইনের চোখে অপরাধ হিসেবে প্রচার করা হলেও, সাধারণ মানুষের ফসল বাঁচাতে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের বেড়া লাগানোর প্রবণতা কিছুতেই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment