ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খান, সুস্থ থাকুন
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৯ আগস্ট: ফাইবার হল শস্য, ফল, শাক-সবজি এবং খাদ্যদ্রব্যের সেই অংশ যা হজম ও শোষিত না হয়েই অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যায়। যার কারণে পাকস্থলী ও অন্ত্র পরিষ্কার করা সহজ হয়। অন্ত্র নন-স্টিক ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে অনেক ধরনের গুরুতর হজমের সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে পারে। বেশির ভাগ মানুষ ফাইবারকে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়, কিন্তু বাস্তবে সুস্থ থাকার জন্য এটা খুবই জরুরি।
দুই ধরনের ফাইবার আছে :
দ্রবণীয় - দ্রবণীয় ফাইবার,
অদ্রবণীয় - অদ্রবীভূত তন্তু বা অদ্রবণীয় তন্তু ।
দ্রবণীয় ফাইবার -
এগুলি খাদ্যের হজম প্রক্রিয়া এবং বিপাক প্রক্রিয়াকে, অর্থাৎ শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ করে তোলে।
অদ্রবণীয় ফাইবার -
এই ধরনের ফাইবার অন্ত্রের গতি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
ফাইবার উপকারী কারণ উভয় ধরনের ফাইবারই ওজন কমাতে সহায়ক। এগুলো শরীর থেকে চর্বিকে একইভাবে শোষণ করতে পারে যেভাবে একটি স্পঞ্জ জল শোষণ করে।
ফাইবার শরীরে কী করে?
দ্রবণীয় ফাইবারগুলি খাদ্যের সাথে শরীরে শোষিত হয় এবং জলের সাথে মিলিত হয়ে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে। এই জেল খাবারের সাথে পাকস্থলীতে আসা চিনি, কোলেস্টেরল, চর্বি এবং অন্যান্য পদার্থকে আবদ্ধ করে এবং হজমের জন্য অন্ত্রের নিচে চলে যায়। অদ্রবণীয় ফাইবার সাধারণত অন্ত্রে তার আসল চেহারা ধরে রাখে এবং দ্রবণীয় ফাইবার হজমের সুবিধার্থে খাবারের সাথে একত্রিত হয়।
ফাইবারের উপকারিতা অনেক -
এটি সুস্বাদু এবং হজমযোগ্য।
এটি জল ধরে রাখে এবং মলকে আলগা রাখে।
এটি কখনই অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি করে না।
পেট ব্যথার কোনও সমস্যা হয় না।
এগুলো খেলে মুখ তেতো ও টক-টক হয় না, বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা হয় না।
ফাইবার প্রচুর চিবিয়ে খেলে এবং রসালো করে খেলে দ্রুত পেট ভরে যায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, যার ফলে ওজন বাড়ে না।
এগুলো খাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে চিবানোর প্রয়োজন হয়, যার ফলে বেশি লালা উৎপন্ন হয় এবং এই লালা খাবারকে ভালোভাবে হজম করায় ।
এতে চর্বি কম থাকে, যেখানে চর্বিযুক্ত খাবারে ফাইবার কম থাকে।
ফাইবার খেলে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং হাঁপানির মতো রোগ এড়ানো যায়।
উচ্চ ফাইবার ডায়েট -
যে সব খাদ্যে দৈনিক ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ফাইবার থাকে তাকে উচ্চ ফাইবার ডায়েট প্ল্যান বলা হয়। আঁশযুক্ত খাবার, গোটা শস্য, আপেল, কলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, কমলালেবু এবং সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার রক্তের গ্লুকোজ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এই খাবারটি হজম প্রক্রিয়াও ঠিক রাখে। ওটস এবং আপেলে দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়। বাদাম, আখরোট, আলু ইত্যাদির মতো অদ্রবণীয় ফাইবার জলে দ্রবীভূত হয় না, এটি বৃহৎ অন্ত্রে পরিপাক হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment