পাওয়ার ব্যাঙ্ক না দেওয়ায় প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ!
পাওয়ার ব্যাঙ্ক না দেওয়ায় প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়।
জানা গিয়েছে, পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যাচ্ছিল না। এই নিয়ে মদ্যপ যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় যুবতীর। অভিযোগ, ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক অভিজিৎ সরকার তার প্রেমিকা অঞ্জলিকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। মেয়েটির হাত ও গালে জখম হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে মদের পার্টির আয়োজন করেছিল অভিজিৎ সরকার ও তার প্রেমিকা অঞ্জলি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে অভিজিতের মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্কটি হারিয়ে যায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়। সেই সময় অভিজিৎ ছুরি দিয়ে প্রেমিকার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ওই যুবককে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। শুধুমাত্র পাওয়ার ব্যাঙ্ক না পেয়ে অসন্তোষ থেকেই খুনের চেষ্টা হয়েছে নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির প্রাক্তন প্রেমিক তাকে দেখে বাঁচিয়েছে।
শনিবার সকালে গলফগ্রিনের মালঞ্চ সিনেমা হলের কাছে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক অভিজিৎ সরকারের সঙ্গে নির্যাতিতা অঞ্জলি দাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এদিন সকালে উৎপল দত্ত সরণির মালঞ্চ সিনেমা হলের সামনে মেয়েটির মুখে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশ। যুবক স্বীকার করেছে যে সে তার প্রেমিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
অভিযুক্তের দাবী, প্রেমিকা অঞ্জলি তার পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল। বারবার ফেরত চাইলেও সেটি না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে অভিজিৎ বলেন, “হ্যাঁ, আমি ওকে মেরেছি। সে আমার পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও টাকা চুরি করেছে। ফেরত চাইলেও দেয়নি। সেজন্য মেরেছি। যেখানে যেখানে মারার দরকার ছিল, আমি ছুরি মেরেছি।"
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করেন অঞ্জলি। অভিজিৎ নিজেই স্বীকার করেছেন যে, শুক্রবার রাতে দুজনে একসঙ্গে মদ পান করেছিলেন। এরপর পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।
সেই কারণেই সকাল সাতটায় বান্ধবী অঞ্জলির বাড়িতে যান ওই যুবক। এরপর তাকে রাস্তায় নিয়ে মারধর শুরু করে। মেয়েটির প্রাক্তন প্রেমিক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি এসে কোনও রকমে তাকে রক্ষা করেন।
No comments:
Post a Comment