কলকাতার ৫টি হাড় হিম করা ভুতুড়ে স্থান! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 5 August 2023

কলকাতার ৫টি হাড় হিম করা ভুতুড়ে স্থান!

 


কলকাতার ৫টি হাড় হিম করা ভুতুড়ে স্থান!


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ আগস্ট: সিটি অফ জয়, একদা ব্রিটিশ রাজধানী এই শহরের প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে নানা পুরনো বাড়ি ও মনুমেন্ট। তাদের মধ্যেই রয়েছে কিছু ভুতুড়ে জায়গা।




 রাইটার্স বিল্ডিংঃ নব্য প্রশাসনিক করণীদের জন্য ব্রিটিশদের বানানোর রাইটার্স বিল্ডিং- এ এমন বহু ঘর রয়েছে যেগুলি এখনও খোলা হয়নি। কলকাতার অন্যতম এই রাইটার্স বিল্ডিংয়ে রাত নামলে জনশূন্য অলিন্দ যেন হয়ে ওঠে অশরীরীদের আখড়া। একথা স্বীকার করে নেন এখানে রাত কাটানো যাবে না। জানা যায়, এই রাইটার্স বিল্ডিংয়ের পাঁচ নম্বর ব্লকটি মোটেই সুবিধার স্থান নয়। রাত নামতেই এখানকার বারান্দা দিয়ে কারা যেন হেঁটে বেড়ায়। দৌড়ে গিয়েও দেখা যায় না কাউকেই। এখানকার ঘরগুলো থেকে শোনা যায় একটানা টাইপের আওয়াজ। 


আকাশবাণীঃ কলকাতার পুরনো ভুতুড়ে বাড়ির মধ্যে এক নম্বর গারস্টিন প্লেস এবং দ্বিতীয় এর প্রথম অফিস। আকাশবাণীর পুরনো দফতর গারস্টিন প্লেসে বারবার দেখা গিয়েছে অশরীরী আত্মা। ফাঁকা লম্বা করিডর, অজস্র স্টুডিও আর ব্রিটিশ অবকাঠামো মিলিয়ে আকাশবাণীর ভুতুড়ে অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। রাত গভীর হলে অনেকেই দেখেছেন সাহেবের ছায়া উবু হয়ে কাজ করছে। আবার কেউ কেউ দেখেন মধ্যরাতে রেকর্ডিং রুমের বারান্দায় কে যেন গান শুনছেন। অনেকে বলতেন এখানে ২ রকম ভুত আছে একটি বাঙালি ভুত এবং অপরটি ব্রিটিশ ভুত। হয়তো বেতারের আশ্চর্য বিজ্ঞানী সে যুগের মনে জন্ম দিয়েছিল এসব ভুতুড়ে বিশ্বাসের। এখনো নানা স্টুডিও থেকেই রাতে ভেসে আসে যান্ত্রিক সুর। বলাই বাহুল্য, সেই যন্ত্রগুলো কোনো মানুষ বাজায় না।



হাওড়া ব্রিজের নীচের ঘাটঃ মল্লিক ঘাট ফুল বাজারের নিকটবর্তী ঘাটটিতে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন তাঁদের অনেকেই বলেন, এই ঘাটে নাকি প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু ভৌতিক ঘটনা ঘটে। রোজই প্রায় অনেক মৃত্যু দেখে এই ঘাট। কোনও মহিলাকে সাদা শাড়ি পরে ঘুরতে দেখেছেন কিংবা মহিলার গলায় নাকি সুরে কান্না শুনেছেন এমন দাবি স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই করে থাকেন। অনেকেই নাকি দেখেছেন, ভোররাতে নাকি এই ঘাটের ধারে জলের নিচ থেকে দুই হাত বাড়িয়ে কাউকে ডাকতে দেখা গিয়েছে। তাদের ধারনা যারা এখানে মারা গেছেন তাদের আত্মাই ঘুরে বেড়ায়।




হেস্টিংস হাউসঃ আলিপুরের হেস্টিংস হাউস শহরের এক অন্যতম পুরনো স্থাপত্য। ওয়ারেন হেস্টিংসের বানানো এই বাড়ি একদা ছিল গভর্নরের বাসস্থান। এখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা কলেজ রয়েছে এই বিল্ডিংয়ে। ছাত্রীরা বলেন, নানা ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা দেখা যায় বিল্ডিংয়ে। অনেকেই বলেন, এক ব্রিটিশ ব্যক্তি ও এক কমবয়সী ছেলেকে এখানে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তাদের ধাওয়া করলেই নাকি একদম গায়েব হয়ে গিয়েছে। আবার এ জায়গা সম্পর্কে শোনা যায়, অশরীরী আত্মারা সবচেয়ে বেশি এখানেই ঘোরাঘুরি করে।




পুতুলবাড়িঃ কলকাতা শহরের আহিরিটোলার বাড়ি নিয়ে রহস্য আজও সবার মুখে মুখে। বাংলা সাহিত্যে পুতুলের বাড়িটি নিয়ে সত্যজিৎ রায় ও লীলা মজুমদারের কিছু ভয়ঙ্কর গল্প রয়েছে। এটা কলকাতা শহরের সবচেয়ে রহস্যজনক স্থান। অনেকে এখনও এই বাড়িতে থাকলেও সন্ধ্যার পর নাকি দোতলা বা তিনতলায় ওঠার সাহস পান না। পুতুলরূপী মহিলা অতৃপ্ত আত্মা নাকি ঘুরে বেড়ায় এ বাড়ির আনাচে-কানাচে। গভীর রাতে তো বটেই এমনকি ভরদুপুরেও কিছু অশরীরীর উপদ্রব রয়েছে এখানে। এর নেপথ্যে আসলে কি!



এক সময় বাড়িটিতে এক বড়লোক মনিব বাস করতেন। বাড়ি দেখাশোনায় কয়েকজন দাসীও কাজ করত। মনিব দাসীদের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনসম্পর্ক করতেন। কিছু দাসী মনিবের এ অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় তাদের হত্যা করা হয়। হত্যার পর বাড়ির পেছনে তাদের লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। এরপর কতকাল পার হলো কিন্তু আজ অবধি মাঝে মাঝে রাতে মেয়েলি কণ্ঠের কান্নার শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়দের ধারণা মনিবের এ পাপের কারণে এখনো পুতুলবাড়ীতে অশরীরী আত্মার আনাগোনা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad